অনুজীব কাকে বলে? অনুজীবের বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ কর

অনুজীব

Micro শব্দের অর্থ অতিক্ষুদ্র বা অণুবীক্ষণ, Bios শব্দের অর্থ জীব। যেসব জীব অতি অণুবীক্ষণিক খালি চোখে দেখা যায় না, যারা অকোষীয়, জীব দেহের ক্ষতি বা উপকার দুটি সাধন করে থাকে সেসব জীবদের অনুজীব বলে।


যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, মাইক্রোপ্লাজমা, প্রিয়ন, ফাঙ্গি, প্রোটোজোয়া ইত্যাদি। এরা এককোষী হয়ে থাকে।

অনুজীব সম্পর্কে মানুষের ধ্যান-ধারণা বেশ প্রাচীন। অত্যন্ত ক্ষুদ্র জীব সত্ত্বা। অনুমান করা যায় যে, অনুজীব পৃথিবীর জৈব বস্তুর প্রায় ৬০% তৈরি করে। এন্টনি ভ্যান লিউয়েন হুককে অনুজীব বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি সর্বপ্রথম অনুজীবের অস্তিত্ব প্রমাণিত করেন। তিনি ছিলেন হল্যান্ডের ডেলফট শহরের একজন কাপড় ব্যবসায়ী।

কিন্তু কাচ খণ্ড ঘষে ঘষে অত্যন্ত শক্তিশালী লেন্স তৈরি করেই কাটতো তার বেশিরভাগ সময়। একসময় তিনি তার রোগাক্রান্ত দাঁতের ময়লা তুলে বৃষ্টির পানিতে মিশিয়ে নিজের তৈরি একটি লেন্সের নিচে তা পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি সেই ময়লার ভেতরে অসংখ্য ছোট ছোট জীবজন্তা নড়াচড়া প্রত্যক্ষ করেন। এটিই ছিল অনুজীবের জন্ম লগ্ন।

নিজের তৈরি লেন্সের সহায়তায় তিনি বেশিরভাগ পেঁচানো ও দণ্ডকার ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া ইছোটজোয়া, ইস্ট, শৈবাল, স্পার্মাটোজোয়া প্রভৃতি প্রত্যক্ষ করেন। তিনি একটি চিঠিতে তার আবিষ্কার গুলো লিপিবদ্ধ করে লন্ডনের রয়েল সোসাইটির কাছে পাঠিয়ে দেন।

এভাবেই সৃষ্টি হয় অনুজীব বিজ্ঞান নামক বিজ্ঞানের একটি শাখার। তিনি সর্বপ্রথম অনুজীব আবিষ্কার করেন বলে তাকে অনুজীব বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

অনুজীবের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায় যা নিচে উল্লেখ করা হলো

  • এরা অণুবীক্ষণিক।
  • এরা আদিকোষী বা প্রকৃতকো।
  • এরা স্বভোজী ও পরভজী হয়ে থাকে।
  • এরা অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন।
  • এরা সংখ্যা বৃদ্ধি করে থাকে।
  • এরা সঞ্চারণ ক্ষমতা সম্পন্ন।
  • এদের প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে।
উদাহরণ : অ্যালজিয়া, রিকেটসিয়া, ভিরিয়ডস ইত্যাদি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url