থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

থানকুনি পাতার উপকারিতা

অতীত কালে থানকুনি পাতার অনেক উপকারিতা বনীত রয়েছে। শরীরকে সুস্ত ও সবল রাখতে থানকুনি পাতা অনেক কারজ করি।অনেক আগে থেকে থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। কিছু বছর আগে এ পাতা প্রায় সকলের বাড়ির আশে পাশে পাওয়া যেত। এখনকার সময়ে এ থানকুনি পাতা বিলুপ্ত প্রায়। অনেক কম বাড়িতে এখন এ পাতা পাওয়া যায়। 


এ থানকুনি পাতার বিঙ্গান নাম হল সেন্টেলা এসিয়াটিকা। দীর্ঘ জীবন লাভ করতে এ পাতা উপকারিতা অনেক। থানকুনি পাতার প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-বি ও সি থাকে,এছাড়াও এ পাতায় সাভিসিয়াল এন্টি অক্সীডেন পপারটিজ থাকে।যা আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে এবং দেহকে সুস্ত রাখে। 

তাছাড়া এ পাতা প্রতিদিন খেলে এটি আমাদের দেহকে বিভিন্ন রোগ থেকে বাচতে সাহায্য করে। যাদের গ্যাস্ পেট ব্যথা তাদের জন্য এ পাতা অনেক উপকারি।প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৮-১০ টি পাতা চিবিয়ে খেলে গ্যাস, বদহজম,এসিডিটি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যদি কারো অনেক পুরনো আমাশা থাকে তাহলেও এপাতার গুরুত্ব অপরীসিম।

তাহলে তারা যদি এ পাতা প্রতিদিন খান তাহলে তার আমাশা ধিরে ধিরে ভালো হয়ে যাবে। তাছাড়াও এ পাতা আমাদের মস্তিষ্কে কার্জ ক্ষমতা বাড়ায় ও মানসিক সমস্যা থেকে দূরে রাখে।অনেক মানুষেরি শরীর হাত-পা জ্বালা পুরা করে তারা যদি প্রতিনিয়ত ৮-১০ টি পাতা চিবিয়ে খেয়ে পানি পান করেন তাহলে তাদের এসব সমস্যা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে। 

আরও এ পাতা আমাদের খিদে বাড়ায় সেই ফলে যাদের খিদে পায় না বা খেতে পারে না তাদের মুখের রুচি বাড়ায়। যারা অনিয়মিত মল ত্যাগ অথবা কষ্ট কাঠিন্যেতে যারা ভুগছেন তাদের জন্য এ পাতা অনেক কার্জ করি। তাদের ক্ষেত্রে সকাল এবং সন্ধা ৮-১০ টি পাতা চিবিয়ে খেয়ে পানি পান করতে হবে তাহলে দেখবেন তারা এ সমস্যা ভালো হয়ে যাবে। 

এছাড়াও বিভিন্ন কাজে এ পাতা ব্যবহার কার হয় যেমন শরীরের কোনো জায়গায় কেটে গেলে এ পাতার রস লাগালে অনেক তারাতাড়ি ভালো হয়ে যায় এবং রক্ত বন্ধ হয়ে য়াই। থানকুনি পাতা পেটের প্রায় সকল সমস্যা ক্ষেত্রেই কাজে দেয়।

থানকুনি পাতা চিবিয়ে খেলে কি হয়

থানকুনি পাতা যদি কোনো মানুষ প্রতিদিন চিবিয়ে খাওয়া শুরু করেন তাহলে এ পাতা তার মাথা থেকে পা পযন্ত অনেক রোগ সমস্যা দূর করে থাকে। যেমন সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এপাতা খেলে মেয়ে ও ছেলে উভয়ের চুল পড়া কমে যায়। আরও এ পাতা প্রতিদিন সকালে উঠে ৮-১০ পাতা চিবিয়ে খেলে গ্যাস বদহজম এসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতা যদি ৭দিন নিয়ম করে খাও হয় তাহলে এটি আমাশয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

থানকুনি পাতা খাবার নিয়ম

প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে ৫-৬ চামুচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে চেহারার সুন্দরর্জ বৃদ্ধি পায়।আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। 

থানকুনি পাতার রস খেলে যেমন উপকারীতা মিলে তেমনই কাচা থানকুনি পাতার খেলেও তেমনই উপকারিতা পাওয়া যায়। এপাতার আবার বড়াও খাওয়া যায়।শরীরের কোনো যায়গা কেটে গেলে থানকুনি পাতা বেটে তার রস লাগালে রক্ত পড়া ও ব্যথা কমে যায়। 

যাদের ঘুম কম হয় তারা যদি প্রতিদিন সকালে থানকুনি পাতা ভেজানো পানি পান করেন সে ক্ষেত্র ও এপাতা কাজে দিবে। আরও থানকুনি পাতার রসের সাথে যদি এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে টোকশিন শরীর থেকে বেড়িয়ে যাবে। 

২৫০গ্রাম থানকুনি পাতা নিয়ে ভালোকরে পরীক্ষার করে নিয়ে এর পর একটি গ্লাসে পাতা গুলি নিয়ে এক কাপ পানি মিশিয়ে নিয়ে তার একটি পেস্ট করে নিয়ে ছেকে নিতে হবে তারপর তাতে চার(৪) চামচ চিনি মিশিয়ে এবং একটু নুন নিয়ে তা আগুনে গরম করতে হবে ততখন গরম করবে যতগন না চিনি ভালো ভাবে গলে যায় তারপর পেস্টটি ঠান্ডা করে নিতে হবে এরপর একটি গ্লাসে ২০০ গ্রাম পানিতে এক টুকরো লেবু নিয়ে সেই পেস্টটি ৫০ গ্রাম বা একচামচ নিয়ে পান করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়।

থানকুনি পাতার বৈশিষ্ট্য

থানকুনির পাতা আমাশয় দূর করে, পেটের সমস্যা কমায়, কাশির প্রকোপে কমে, চুল পড়া কমে যায়, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়, হজম শক্তি বাড়ায়, আবসাধ ও উদ্বেগ রোধ করে এবং গ্যাসটিক সমস্যা দূর করে।

থানকুনি পাতা চেনার উপায়

এশিয়া মহাদেশে অনেক জলাশয় ও পুকুরের পাশে জন্ম নেয়। থানকুনির গাছ দেখতে ছোট হয়। এর পাতা গোল হয় একটি গাছে ১০ থেকে ১৫ টি পাতা থাকে। এ পাতা অনেকে বাড়িতে টপে চাষ করে।

থানকুনি পাতার গুণাগুণ

  • থানকুনি পাতার মধ্যে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন- সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • মুখের ব্রণ ও দাগ দূর করে।
  • মুখের ঘা ও অন্যা্ন্য রোগের ক্ষেত্র এটি অনেক কার্জ করি।
  • সর্দি, কাশির ক্ষেত্র ও এটি অনেক ভালো কাজ করে।
  • পেটের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্র এ পাতা ব্যবহার করা হয়।
  • আমাশয় রোগ ভালো করতে সাহায্য করে।
  • এ পাতা গলা ক্ষেত্র ও অনেক ভালো কাজ করে।

থানকুনি পাতার অপকারিতা

যে জিনিসের ভালো দিক আছে সে জিনিসের কিছু খারাপ দিক ও থাকে তেমনি থানকুনি পাতার ও কিছু খারাপ দিক ও আছে সে গুলোও জেনে রাখা দরকার।
  • এপাতা দির্গ সময় ধরে খেলে বা সেবন করলে যাদের লিভারের সমস্যা আছে তাদের লিভার ডেমেজ হওয়ার ও চান্স থাকে।
  • অল্প সময়ে এপাতা বেশি পরিমাণে খেলে বা সেবন করলে বিভিন্ন জীব রিয়াকশন দেখা দিতে পারে।
  • যদি কোনো মানুষের অপারেশন এর পর দেওয়া ঔষধের সাথে এপাতা দেওয়া হলে রোগীর অসাভাবিক ঘুম পেতে পারে যা রোগীর জন্য ক্ষতি কারক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url