দ্রুত মেদ কামানোর উপায় | ওজন কমাতে যে ৯ টি বদঅভ্যাস দূর করতে হবে

খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম এবং ব্যস্ত জীবন-যাপনের ফলে নারী পুরুষ উভয়েরই জীবনযাত্রার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। বাইরের খাবার যেমন জাংকফুড, চর্বি জাতীয় খাবারের বদঅভ্যাস এবং অনিয়ম করে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে বাড়ছে অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি।। 


মেদ বা ভুঁড়ি বাড়ার মানুষ জন অনেক সমস্যার ভোগে। আমরা যদি একটু সচেতন হয় বাইরের খাবার ও নিয়ম করে খাবার খায় তাহলে খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে খুব সহজেই শরীরের মেদ কমানো যায়। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পড়ুন।

দ্রুত মেদ কামানোর উপায়

লিকুইড ক্যালোরি খাওয়া কমিয়ে দেওয়াঃ লিকুইড ক্যালোরি হচ্ছে তরল পানীয় সাথে আমারা যে খাবার গুলো খাই। যেমন; চা, কফি, পেপসি, কোক বিভিন্ন জুস ইত্যাদি এগুলো আসলে আমরা খাবার হিসেবে বিবেচনা করি না, খেতে ভালো লাগে খেলাম, পেটে তেমন লাগে না৷ 

কিন্তু এগুলো অনেক ক্যালোরি থাকে। তো আমাদের এই লিকুইড ক্যালোরি এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা, আপনি যখন রাস্তায় বা বাড়িতে এক কাপ কফি খাবেন এর ফলে আপনার শরীরে ২০০ গ্রাম ক্যালোরি গ্রহণ করবে যা আপনার পেট ভরাবে না। ফলে আপনি ঠিক স পরিমাণ খাবার খাবেন। 

তাহলে এই অতিরিক্ত ক্যালোরি দূর করতে আপনাকে ২ কিলোমিটারের ও বেশি দৌড়াতে হবে। যেটা অবশ্যই আপনি সহজে করতে চাইবেন না যত সহজে আপনি এক কাপ কফি খাবেন। তবে বুঝতেন পারছেন এটা হতে দূরে আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়।

খাবার আগে ৫০০ মিলি পানি খাওয়াঃ খাবার খাওয়ার আগে আধা লিটার পানি পান করে নিবেন। এর জন্য আপনি পাশে একটা ৫০০ মিলি এর একটা বোতল বা গ্লাস রাখতে পারেন। এর ফলে অল্প খাবারে আপনার পেট ভরে যাবে। 

গবেষণাতেও দেখা গেছে খাবার খাওয়ার আগে যদি পানি খেয়ে নেওয়া হয় তাহলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে অনেকে আপনারা হয়ত শুনে থাকতে পারেন যে, খাবারের সাথে যদি পানি খায় তাহলে পাকস্থলী থেকে যে হজমের রস বের হবে তা পাতলা হয়ে যেতে পারে এজন্য খাবারের সাথে পানি খাওয়া যায় না। 

এ কথা গুলো আসলে কোন ভিত্তি নাই। একটু বললেই বুঝতে পারবেন, আমরা ফল খাই, শাক-সবজি খাই এগুলো তে পানি থাকে। তারপর আপনার তরকারির ঝোলে কিন্তু পানি থাকে, সেটা খেলে তো আমাদের পাকস্থলীতে হজমের রস পাতলা হয়ে যায় না। 

তবে আমরা যদি পানি খাই তাহলে কেন আমাদের পাকস্থলী হজমের রস পাতলা হবে। এগুলো নিয়ে আপনার বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনারা খাবারের আগে ও খাবারের সাথে পানি খেতে পারেন। আর ওজন কমানোর জন্য খাবারের আগে পানি খেয়ে দেখতে পারেন আপনার ওজন কমছে কিনা।

প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করাঃ আমরা অনেক সময় বাসায় রান্না না করে রেস্তোরাঁ বা হোটেল থেকে খাবার অর্ডার করে খেয়ে থাকি।। যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য সুস্বাস্থ্যকর নয়। আর ওজন কমানোর জন্য এটি আরও ভালো না। 

কেননা, যখন আমরা বাসায় রান্না করি তখন চেষ্টা করি ভালো জিনিস পত্র দিয়ে, ভালো উপাদান দিয়ে খাবার টা রান্না করার৷ আর যখন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার বানায় তখন তারা এসব বিষয় গুলো খেয়াল রাখে না। 

তাদের কাজ হচ্ছে কিভাবে খাবার টা কিভাবে মজা হবে। যার ফলে খাবার সুস্বাদু হয়। আর এটি করার জন্য তারা চিনি বেশি দেয়, ফ্যাট দেয় এরকম আরও অনেক উপাদান দিয়ে থাকে। খাবার টা মজার করায় তাদের আসল উদ্দেশ্য। 

এই প্রসেস ফুড গুলো আমাদের খুব সহজে হজম হয়ে যায়। দেখা যায়, ক্যালোরি অনেক বেশি থাকে ও পুষ্টি কম থাকে। স্বাস্থ্যের জন্য খাবার গুলো যেমন ভালো না আবার ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সেটা একদমই ভালো খাবার না।

এছাড়াও আরও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। যেমন; একটা সসা সুন্দর করে পিস পিস করে কেটে নিবেন। আপনি যদি সসা টা বাড়িয়ে নেন তাহলে আদা টাও আপনাকে কিছুটা পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে। 

আদা টা আপনি আপনার পছন্দ মত টুকরো করে নিতে পারেন কোনো সমস্যা নাই। যারা ব্যায়াম করতে পারেন না শুধু তাঁরাই এটা খাবেন। আর যদি ব্যায়াম করতে পারেন তাঁরা অবশ্যই ব্যায়াম করবেন। ব্যায়াম করলে আপনি এর দিগুণ উপকার পাবেন। 

এর সাথে আপনাদের নিতে হবে একটি লেবু। লেবু মেদ কমানোর জন্য অনেক উপকারী। ব্যায়াম না করেও দ্রুত মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে লেবু। একটি লেবু নিয়ে মুখের দিক টা একটু কেটে ফেলে দিতে হবে। 

পরে লেবু টা আপনরা আপনাদের সুবিধা মত ছোট ছোট করে কেটে নিবেন। লেবুটা সুন্দর করে ধুয়ে নিবেন যাতে করে লেবু তে কোনো প্রকার ময়লা না থাকে। পরে লেবুর ছাল সহ ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিবেন। 

এই ৩ টি জিনিস একসাথে সুন্দর করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটা ব্যায়াম না করেও দ্রুত মেদ কমাতে অনেক সাহায্য করে। এই খাবার টা আপনার সকালে খালি পেটে খাবেন। যারা ডায়েট করছেন তারাও খেতে পারবেন। যারা শুধু মেদ কমাবেন তারাও খেতে পারবেন। 

ওজন এবং কি তল পেট কমানো নির্ভর করবে একান্তই আপনার উপর। এর কারণ হলো আপনি কিভাবে ডায়েট করছেন, কিরকম খাবার খাচ্ছেন,কিভাবে ব্যায়াম করছেন, কিভাবে আমাদের বলা এই খাবার টা খাচ্ছেন সেটার উপরেই ভিত্তি করেই আপনার মেদ কমানো বা বাড়ানো সম্ভব।

ওজন কমাতে যে ৯ টি বদঅভ্যাস দূর করতে হবে

যে ছোট ছোট অভ্যাস গুলো আমাদের শরীরে মেদ জমিয়ে রাখে তার ১০ টি কারণ আজকে আমরা আলোচনা করবো। এর মধ্যে কিছু কিছু কারণ শুনে হয়তো আপনি হয়তো আশ্চর্য হবেন আর কিছু কিছু আপনি আগে থেকেই জানতেন। আমি প্রত্যেকটি বিষয়ের মূল আলোচনা করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

কোন বেলায় খাবার বাদ দেওয়াঃ অনেকেই সকালের নাস্তা বাদ একেবারে দুপুর বেলার খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। এক বেলা খাবার খাওয়া বাদ দিলে পরবর্তী তে বেশি খাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। এতে মেদ বারার বাহ ভুঁড়ি বারার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

যদি আপনার বেলায় এমন হয় তাহলে কোন বেলার খাবার বাদ দিবেন না আর যদিও বাহ বাদ ও যায় তবে সতর্ক থাকবেন যেন পরের বেলায় অতিভোজন বা অসাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া হয়।

মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ এর কারণে মেদ ভুঁড়ি বাড়ে। এবং এটা হয় কয়েক ভাবে। মেদ ভুঁড়ি বাড়াতে এর প্রভাব এখানেই শেষ না আরও ৩ টি কাজ সে করে
  • ১. শরীরের অন্যান্য জায়গায় চর্বি জমতে সাহায্য করে। এটাকে আমরা বলি CENTRAL ADIPOSITY।
  • 2. আরেকটি হরমোন কে বাড়িয়ে দেয় যে হরমোন টা আমাদের বেশি করে খুদা অনুভব করায়।
  • 3. লেপটিঙ্গ নামের এক হরমোন কমিয়ে দেয়, যেটা আমাদের পেট ভোরন কমিয়ে দেয়। সারাংশ হলো, এর ফলে পেট ভরা কম মনে হয়, ক্ষুধা বেশি লাগে আর বেশি খেলে যে চর্বি টা হয় সেটা পেটের অংশে জমাট বাঁধে। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, পছন্দের কাজ ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মানসিক চাপ কে দূরে রাখবেন।
খারাপ ঘুমের অভ্যাসঃ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে কম ঘুমের সাথে ওজন কমে যাবার একটা সম্পর্ক রয়েছে। এই টা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আপনি যখন রাত জাগেন তখন কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করে, ঘুমিয়ে থাকলে এ অতিরিক্ত খাবার টা খাওয়া হতো না। 

আবার রাত জেগে কাজ করার সময় আমরা যে খাবার গুলো সাধারণত খায় সেগুলো প্রায়শই ফ্যাট বা চিনি যুক্ত খাবার বা অতিরিক্ত চর্বি যুক্ত খাবার হয়। 

খাবার অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর কিনা সেসময় আমরা তেমন ভাবি না। তারপর যদি নিয়মিত ঘুম না হয় তখন মানসিক চাপের সৃষ্টি হতে পারে। সেই মানসিক চাপ আবার বিভিন্ন ভাবে বাড়তি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

দ্রুত খাওয়ার অভ্যাসঃ আপনি যখন খাবার খাওয়া শুরু করেছেন সেই খাবার পেটে যায় এবং পেটের সাথে আপনার ব্রেনের একটা কথা বার্তা হয়৷ পেট ভরেছে কিনা এটা ব্রেন এর জানতে ২০ মিনিট সময় লাগতে পারে। আপনি যদি দ্রুত খান তবে বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

কারণ দ্রুত খেলে ব্রেন হয়তো ওতো দ্রুত পেটের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আপনাকে বলতে পারবে না আপনার পেট ভরে গেছে। সমাধান হচ্ছে ধীরে ধীরে খাবারের প্রতি মনোযোগ দিয়ে খাওয়া। আর যদি দ্রুত খেতেই তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার নিয়ে খাবার শেষ করা।

বড় প্লেটে খাবার খাওয়াঃ প্লেট টা তো মূল বিষয় না, মূল বিষয় হচ্ছে আপনি পরিমাণে কতটুকু খাচ্ছেন। প্লেট টা বড় হলে সাধারণত খাবার একটু বেশি পরিমাণে নেওয়া হয়, আর আমরা সাধারণত প্লেটে যতটুকু খাবার নি পুরোটা শেষ করে উঠতে চাই। হয়তো কিছু বাকি থাকতে আমাদের মনে হয় পেট ভরে গেছে, কিন্তু যেহেতু প্লেটে খাবার আছে সেগুলো রেখে আমরা উঠতে চাই না। 

আর এভাবেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায়। তাই শুরু থেকেই যদি প্লেট টা একটু আকারে ছোট হয় বা খাবার নেওয়ার সময় আমরা পরিমাণ টা খেলয়াল রাখি তাহলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া সম্ভাবনা থাকে না।

সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খাওয়াঃ দাওয়াত খেতে গেলে আমরা অনেক সময় সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খেয়ে ফেলি। প্লেটে কেউ খাবার দিয়ে সেটা শেষ করে উঠা কর্তব্য হিসেবে ধরে নি। আবার বন্ধু-বান্ধবের সাথে দেখা হলে পেট ভরা থাকা সত্ত্বেও কিছু একটা খাওয়ার অর্ডার দেওয়া হয়। 

এ অভ্যাস গুলো ওজন বাড়াতে ও মেদ ভুঁড়ি বাড়াতে পারে। এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সচেতন ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, অতিরিক্ত খাবার শরীরের যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে তা মাথায় রেখে খাবার খাওয়ার বা না খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

দাওয়াতের আরেক টা প্রচলন হচ্ছে খাবার শেষে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া। এক্ষেত্রেও খেয়েল রাখবেন যেন অতিভোজন না হয়। পরিমিত পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন।

সাদা চাল, সাদা আটা খাওয়াঃ সাদা চাল, সাদা আটা তৈরি করার সময় ফাইবার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ফেলে দেওয়া হয়। ফাইবার আমাদের খাবার কে আস্তে আস্তে হজম করতে সহয়তা করে। ফাইবার ফেলে দেওয়ার কারণে খাবার গুলো দ্রুত হজম হয়, রক্তে ব্লাড সুগারের মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সাদা চাল, সাদা আটার মধ্যে এমন প্রকিয়াজাত খাবার বেশি থাকায় মেদ ভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্য দিকে লাল চাল, যেটাকে কুড়াকাটা চালও বলা হয়, তারপর লাল আটা এরকম গোটা সস্য দানা খাওয়ার ফলে মেদ ভুঁড়ি কম হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। 

তাহলে কি করা যেতে পারে? আস্তে আস্তে লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন৷ প্রথমে ভালো নাও লাগতে পারে তবে এটি আপনার মেদ ভুঁড়ি কমাতে সাহায্য করবে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

লো ফ্যাট বা ফ্যাট মুক্ত খাবারঃ লো ফ্যাট খাবারে মেদ ভুঁড়ি হতে পারে এটা শুনে আপনার কাছে খটকা লাগতে পারে। কারণ আমরা সাধারণত মনে করি লো ফ্যাট খাবার হচ্ছে স্বাস্থ্যকর। এটা সত্য যে লো ফ্যাট খাবার স্বাস্থ্যকর হতে পারে তবে সব ক্ষেত্রে না। 

একটু ব্যাখ্যা করলেই বুঝবেন। একটা খাবার যখন লো ফ্যাট করা হয় তখব সেখান থেকে ফ্যাট কমিয়ে বা সরিয়ে ফেললো। এতে খাবার টা অনেকের কাছে কম সুস্বাদু লাগে, আর খাবার কম সুস্বাদু হলে তো বিক্রি হবে কম। তাই সুস্বাদু করতে এবং বিক্রি বাড়াতে ওই খাবারে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত করা হয়৷ 

অতিরিক্ত চিনি অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত করে, যা অস্বাস্থ্যকর এবং ওজন বাড়ায়। আপনি হয়তো ভাবছেন লো ফ্যাট খাবার খাই তবুও কেন ওজন বাড়ছে। এটা কেন হতে পারে তা জেনে গেলেন। এখন থেকে লো ফ্যাট খাবার কেনার আগে সেই খাবারে চিনি যোগ করা হয়েছে কিনা দেখে নিবেন।

শুয়ে বসে থাকাঃ শুয়ে বসে থাকলে যে শরীরে চর্বি জমে তা সবাই জানেন। তাই এটা নিয়ে বেশি কথা না বলে সমাধান বলি। সপ্তাহে ৫ দিন মাত্র ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটলেই অনেক উপকার পাবেন। রোগ ব্যাধীর সম্ভাবনা কমবে এবং শরীরের চর্বি কমবে। রাতারাতি চর্বি কমার আশা করবেন না। হাঁটা চালিয়ে যাবেন, তাতে কিছু ভারী উত্তোলন করতে পারলে আরও ভালো।

কি করলে দ্রুত মেদ কমবে

ব্যায়াম না করেও দ্রুত মেদ কমাতে হলে আপনাকে চিনি জাতীয় খাবার, ভাজা পোরা ও বাইরের জাঙ্ক ফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে। আপনি যদি ব্যায়াম করতে না পারেন তাহলে ১ থেকে ২ টা সসা ১০০ থেকে ২০০ গ্রাম আদা ও ১ টা সুন্দর ও ভালো দেখে লেবু ও কিছুটা পরিমাণ ধোনে পাতা নিয়ে মিশ্রন করে খেতে পারেন। এটা আপনার ব্যায়াম না করেও দ্রুত মেদ কমাতে অনেক উপকারী। 

এর সাথে সাথে যদি আপনি ব্যায়াম ও একটু হাটাহাটি করেন তাহলে এটা দ্রুত কাজ করে থাকে। ১ গ্লাস পানি দিয়ে এটা সুন্দর মত ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে, আপনারা চালে যেকোনো কিছুতেই এটা বেটে নিতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। 

এক গ্লাস পানি যথেষ্ট এটা সুন্দর করে মিশ্রণ করার জন্য। এটা বেশি মিলিও হবে ও এত বেশি পাতলাও হবে না। আর এটা যদি আপনারা সকাল বেলা খালি পেটে খান তাহলে বেশি উপকার পাবেন। এটা আপনাকে খেতে হবে ১৫ থেকে ২০ দিন খান তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনারা এটার ফলাফল বুঝতে পারবেন।

এটা যাদের জন্য নিষিদ্ধ 

যাদের গ্যাসটিক আলসার আছে তারা খেতে পারবেন না এবং যারা প্রেগনেন্ট আছেন তারাও এটা খেতে পারবেন না। লিভার ও কিডনির সমস্যা থাকলে আপনারা কিন্তু এটা খেতে পারবেন না। এটা অনেক তেঁতো থাকে যার ফলে এটা ছোট বাচ্চারা খেতে পারবে না। ছোট বাচ্চাদের এটা খাতে চাইলে এটা পানি টুকু ছেঁকে খাওয়াতে পারেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url