অ্যানিমেলিয়া (Animalia) রাজ্যের বৈশিষ্ট্য _জেনে নিন!
বৈশিষ্ট্য
- এরা নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও বহুকোষী প্রাণী।
- এদের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই।
- এদের প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রোফিক অর্থাৎ পরভোজী
- এরা খাদ্য গলাধঃকরণ করে।
- এদের দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান।
- এদের ডিপ্লয়েড পুরুষ এবং স্ত্রী প্রাণীর জনানঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়।
- এদের ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়।
উদাহরণঃ প্রোটোজোয়া ব্যতীত সকল অমেরুদণ্ডী এবং মেরুদণ্ডী প্রাণী।
ক্যারোলাস লিনিয়াসের সময়কাল থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জীবজগৎকে উদ্ভিদজগৎ এবং প্রাণীজগৎ হিস বিবেচনা করে দুটি রাজ্যে (Kingdom) শ্রেণিবিন্যাস করা হতো। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় বর্তমানে কোষের DNA ( Deoxyribo Nucleic aacid) এবং
RNA (Ribonucleic Acid)-এর প্রকারভেদ, জীবদেহে কোষের বৈশিষ্ট্য, কোষের সংখ্যা ও খাদ্যাভাসের তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে আর. এইচ. হুইটেকার (R.H.Whittaker) ১৯৬৯ সালে জীবজগৎ কে প্রাচটি রাজ্য বা ফাইভ কিংডমে (Five Kingdom) ভাগ করার প্রস্তাব করেন। পরবর্তী কালে মারগুলিস (Margulis) ১৯৭৪ সালে Whittaker- এর শ্রেণিবিন্যাসের পরিবর্তিত ও বিস্তারিত রূপ দেন।
তিনি সমস্ত জীবজগৎ কে দুটি সুপার কিংডমে ভাগ করেন এবং পাঁচটি রাজ্যকে দুটি সুপার কিংডমের আওতাভুক্ত করেন। সে দুটি হলো (a) সুপার কিংডম 1 এবং দ্বিতীয় টি (b) সুপার কিংডম 2। অ্যানিমেলিয়া রাজ্য সুপার কিংডম 2 এর অন্তর্ভুক্ত।
লেখকের মন্তব্যঃ আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন। কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url