গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের যে ১০ টি খাবার খাওয়ার তালিকায় থাকা অত্যন্ত জরুরী

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলা অনেকেই জানে না গর্ভ অস্থায় কোন কোন ফল খেলে গর্ভের বাচ্চা ভালো থাকে। আর এ জন্যই আমরা আপনাদের সাথে আছি। আমরা আজকে আলোচনা করবো গর্ভ অবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের কোন ১০ খাবার খাওয়াবেন। বিস্তারিত জানতে নিচের পয়েন্ট গুলো মনযোগ সহকারী পড়ার অনুরোধ রইলো।


এই ৮ থেকে ১০ মাস একটি শিশু তার মায়ের গর্ভে মায়ের পুষ্টির ওপর নির্ভর করে নিজের আকার ধারণ করে থাকে।শুধু আকার নয় ডেভেলপমেন্ট হাড়ের গঠন সবকিছুই কিন্তু মায়ের পুষ্টিগুণ এর উপর নির্ভর করে থাকে। 

সেজন্য একজন মহিলা যখন প্রেগন্যান্ট হতে চাইছে বা গর্ভধারণ করতে চাইছেন তখন তার শরীরের পুষ্টি যেরকম চাহিদা থাকে বা প্রয়োজনিয়তা থাকে তেমনি গর্ভধারণের করার পরও তেমনি পুষ্টির প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের যে ১০ টি গুণসম্মত খাবার খাওয়াবেন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 

গর্ভধারণ অবস্থায় অনেক সময় খাবারের পরিবর্তন হয় তবে কিছু খাবার থাকে যেগুলো ৮ থেকে ১০ মাস প্রতিদিন সে যেসব খাবার খাচ্ছে তার মধ্যে থাকাটা আবশ্যিক। আজকে আমরা সেইসব খাবার গুলোর নাম ও সেই খাবার গুলো কেন খাবেন সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

দুধ বা ডেয়ারি প্রোডাক্ট

জানলে অবাক হবেন একজন গর্ভবতী মহিলার দিনে ৭৫০ গ্রাম বা ৩ কাপ দুধ খাওয়া উচিতৎ। এবং দুধ থেকে যে সমস্ত ডেয়ারি প্রোডাক্ট গুলো তৈরি হয় যেমন, ছানা, ঘি, মাখন,ও পানির এখান থেকে ও দুধ থেকেও যে জয় প্রোটিন বা ক্যালসিয়াম এর চাহিদা সেটা পূরণ হয়ে থাকে। একজন গর্ভবতী মহিলার দুধ এবং দুধ জাতীয় যেসব খাবার সেগুলো খাওয়া উচিত। 

তবে বর্তমানে দুধের সাপ্লাই মিল্ক প্রডাক্ট তৈরি করার দুধ এর সাপ্লাই টা জোগান দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হরমোনাল ইনজেকশন দেওয়া হয়। দুধ অথবা ডেয়ারি প্রোডাক্ট এর মাধ্যমে আমাদের শরীরে আসে সেটা কিন্তু অনেক ক্ষতিকর। তাই পিওর ও শুদ্ধ দুধ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক উপকারী।

ডাল ও দানাশস্য

প্রত্যেকদিন রাতে যদি এক বাটি খাঁচা ছোলা ভিজিয়ে রাখেন এবং একজন গর্ভবতী মহিলা যদি সেই কাঁচা ছোলা সকালের খাবার তালিকায় নেই। এবং দুপুরে অথবা রাতে যদি যেকোনো এক ধরনের ডাল খান তাহলে তার প্রয়োজনীয় ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ফুলেট এর চাহিদা অনেকটাই মেকাপ হয়ে থাকে।

গর্ভ অবস্থায় ডিম খাওয়ার উপকারিতা

ডিমকে সুষম খাদ্য বলা হয়ে থাকে এর এর কারণ হলো এর ভিতর প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন,প্রোটিন ও গুড ফ্যাক্স থাকে। যেটা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য প্রতিদিন চাহিদার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পাঠ।তাই একজন গর্ভবতী মহিলার প্রত্যেক দিন একটা করে সেদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত।

সবুজ শাকসবজি

যেকোনো সবুজ রঙের শাক অথবা সবজি যেটাতে থাকে।ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, এবং ভিটামিন সি অনেক ভালো উৎস। এর জন্য দুপুরে বা রাতে সবুজ শাকসবজি একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক উপকারী।

লিনমেট বা সাদা মাংস

সাদা মাংস এটা মুরগী বা মাছে পাওয়া যায়। লিনমেট বা সাদা মাংসে ফ্যাট যেটা থাকে সেটা অনেক কম হয় ও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ভালো মাত্রায় প্রোটিন, আয়রন এর জন্য সাদা মাংস একটি ভালো উৎস।এজন্য গর্ভবত মহিলাদের খাবারের তালিকায় সাদা মাংস বা লিনমেট থাকা জরুরী।

পুরো শস্য

আমরা যে চাল ফুটিয়ে ভাল তৈরি করি সেটা হচ্ছে রিফাইন্ড গ্রেন্ড। এইটা গ্র্যান্ড বা দানাশস্যের মধ্যে অনেকগুলো অংশ থেকে থাকে যেগুলো ঝাড়াই করে ভাত দিয়ে দেওয়া হয় চালের ক্ষেত্রেও চালের ক্ষেত্রেও করা হয়। এরকম আরো অনেক গ্রেন থাকে যার মধ্যে এই ধরনের ঝাড়াই এর কাজ করা হয় না। 

কালো চাল, বাদামী চাল, পুইনু, বা কিনুয়া, ভুট্টা ইত্যাদি। যেটার মধ্যে দানা সর্ষের দানা সর্ষের যে অন্যান্য অংশ গুলো রাখা হয় সেগুলোর মধ্যে প্রোটিন,ও ভিটামিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এটি প্রত্যেকটি গর্ভবতী মহিলাদের ডায়েটে এড করা উচিত। যদি সম্ভব হয় মাঝেমধ্যে ভুট্টা বা পপকন খাওয়া।

শুকনো খাবার

আখরোট, আমন্ড, ফিক বা আনজির,কাজু,কিসমিস, খেজুর এগুলো শুকনো খাবার এর তালিকায় পড়ে এগুলো তে আইরন,ফুলেট এবং ভিটামিন ই এর ভালো উৎসব। এইগুলো একজন গর্ভবতী মহিলাকে ডেইলি ডায়েট এ এড করা দরকার। 

প্রত্যেকদিন রাত্রে যদি ৪ টা বা ৪ টা করে আমন্ড পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয় এবং প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে এটার খোসা ছাড়িয়ে ছেলে ভিটামিন ই এবং ফুলেট এর অনেক ভালো একটি সোর্স। এছাও বাকি আখরোট, ফিগ,কাজু বা কিসমিস এগুলো পানিতে ভেজানোর দরকার হয়না। 

সারাদিনে এক মুঠো নিয়ে যদি খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু ফ্লুলেট,আইরন আরও অন্যান্য যেসব ভিটামিন বা ক্যালসিয়াম আছে এগুলোর ঘাটতি পূরণ হয়।

গর্ভ অবস্থায় পানির উপকারিতা

গর্ভে যখন বাচ্চা থাকে তখন ফিটার্স এর আশে-পাশে অ্যামনইটি ফিউ ইট থাকে।যেটা তার ডেভেলপমেন্ট ও মুভমেন্ট এ হেল্প করে থাকে। এই অ্যামনোইটিক ফিউড অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। 

তাই গর্ভ অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। একজন গর্ভবতী মহিলার সারাদিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।যদি মনে করেন পানির সাথে ডাবের জল ও বাসায় বানানো ফ্রুড জুসও খেতে পারেন।

স্যামন ফিস বা মাছ

স্যামন ফিস একটা সামুদ্রিক মাছ গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মধ্যে ভালো পরিমাণে প্রোটিন, ও মিনারেল থাকে ওমেগাটি ফাইডি এসিড থাকে। তবে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের তুলনায় এই স্যামন ফিস কেন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা কেন মাছের কথা বলছি তার কারণ এটাতে মার্কারির পরিমাণ কম থাকে মার্কারি মহিলার জন্য ক্ষতিকর। 

তাই স্যামন ফিস সবচেয়ে বেশি ভালো এবং এতে ওমেগাটি ফাইডি এসিড প্রচুর পরিমাণে থেকে থাকে যেটা গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাভোকাডো ফল

ভালো ফ্যাট ও ভিনামিন ই এর অনেক বড় উৎস। অ্যাভোকাডো এমন একটি ফল যেটা গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকার ফলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ থাকে। অ্যাভোকাডো ফল খাওয়ার ফলে ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ পড়ে থাকে

লেখকের মন্তব্যঃ আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন। কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url