সহমর্মিতা বলতে কি বুঝায়? ইসলামের সহমর্মিতা এবং সহমর্মিতার গুরুত্ব
সহমর্মিতা অর্থ সমব্যথী হওয়া, মানুষের প্রতি দয়াদ্র হওয়া, সাহায্য করার ইচ্ছা করা, অপরের বেদনা নিজের ভেতর অনুধাবন করা ইত্যাদি। মানুষের দুঃখ-কষ্টে, বিপদ-আপদে, রোগে-সুখে পাশে থাকা কিংবা বিপন্ন মানুষের বেদনা, মন কষ্ট উপলব্দি করে তাদের সঙ্গে একান্ত ও সমব্যথী হওয়ায় সহমর্মিতা। অন্যকথায় মানুষের সকল যন্ত্রণা, কষ্ট, পিরন ও বিষন্নতাকে নিজের অনুভূতিতে স্থান দিয়ে সে অনুযায়ী আচরণ করাকে সহমর্মিতা বলে।
ইসলামের সহমর্মিতা
আমরা মহান আল্লাহর সৃষ্টি। হযরত আদম আলাই সালাম ও হাওয়া (আঃ) থেকে মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এজন্য সৃষ্টিগতভাবে সকল মানুষই সমান। তিনি মানুষকে সম্মানিত করেছেন এবং সকল সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ আসনের সমাসীন করেছেন। তার দেওয়া জীবন ব্যবস্থা অনুসারে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
সময়ের বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, ও শ্রেণী পেশার মানুষ থাকে। সমাজে কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়, বরং একে অন্যের প্রতি নির্ভরশীল। এজন্য সমাজের প্রত্যেক এই পরস্পরের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সকল ধর্মের সকল শ্রেণীর এবং সকল পেশার মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা এসব দায়িত্বগপ্ত সমূহের মধ্যে অন্যতম।
মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে, কিংবা কর্ম ক্ষেত্রে নানা রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। কখনো সে আকর্ষিক বিপদে পতিত হয় আবার কখনো সে অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করে। এইসব কারণে বিষ্নতা, মানসিক বিপর্যয় অবস্থা, হতাশায় ইত্যাদি তাকে পেয়ে বসে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ওই ব্যক্তির সঙ্গে মানসিকভাবে সাহায্য করার নাম সহমর্মিতা।
ইসলামের সহকর্মিতার স্বরূপ
ইসলাম মানবিক মূল্যবোধ চর্চা করতে শেখায়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন তারই অংশ। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের সমাজের সবার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। মহানবী (সাঃ) এবং সাহাবীদের জীবনের সহমর্মিতার অনেক বাস্তব শিক্ষা দেখতে পাওয়া যায়।
সাহাবীরা সবসময় নিজের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিতেন। নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও অন্যকে উজাড় করে দিতে কাঁপণ্য করতেন না। নিজেরা ক্ষুধার্ত হলেও অন্যের মুখে খাবার তুলে দিতেন। নিজের ধনসম্পদ, ঘরবাড়ি, কৃষি জমি ও গবাদি পশু সবকিছুই তারা অপরের কল্যানে অবলীলায় দান করতেন।
মহানবী (সাঃ) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন। তার সঙ্গে অনেক সাহাবী ও হিজরত করেন। হিজরত করে আসা এই মুহাজির সাহাবীদেরকে মদিনার আনসার সাহাবীরা সাদরে বরণ করে নেন। নিজেদের ধন-সম্পদ, ঘরবাড়ি মুহাজিরদের দিয়ে ভাতৃত্ব অসমর্মিতার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনা করেন।
তাদের এই নিঃস্বার্থ সহমর্মী তাকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহতালা বলেন, আর তারা (আনসার) তাদেরকে (মুহাদির) নিজেদের ওপর অগ্রধিকার দেয়, নিজের অভাবগ্রস্ত হলেও। যাদের অন্তর কাপড় থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে তারাই সফল কর্ম। (সূরা আল হাশর,আয়াত,৯)
হাদিসে এক মুসলিমকে অপর মুসলিমের ভাই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাই এক ভাই কখনো অপর ভাইকে অপমান করবে না।, তার জান মালের ক্ষতি হতে দেবে না, তাকে হেই করে দেখবে না, বরং সেই ভাই যখনই কোন বিপদে পড়বে তার সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। সে অসুস্থ হলে তার সেবা করতে হবে,প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে।
ব্যতীত হলে সান্ত্বনা দিতে হবে। প্রকৃত বকের সমগ্র সৃষ্টি জগৎ আল্লাহর পরিবারসড়ূপ। সাধারণত কারো পরিবারের কেউ সদাচরণ করলে পরিবারের কর্তাও তাকে ভালবাসে।তাই সৃষ্টি জগতের কারো প্রতি কেউ ভালো আচরণ করে আল্লাহতালা তাকে ভালবাসেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ইসলাম কি অবস্থা হলে তাকে দেখতে যেতেন। তার পবিত্র সাহচর্যে রোগী ষষ্ঠী বোধ করত। এমনকি অমুসলিমকে অসুস্থ হলেও তিনি তাকে দেখতে যেতেন। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন। বিভিন্নভাবে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। একবার এক ইহুদী ভালোক অসুস্থ হয়ে পড়ল। মহানবী (সাঃ) তাকে দেখতে গেলেন।
তার শিয়রে বসে তাকে স্নেহ ভরে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। বালকটি তখন ইসলাম গ্রহণ করল। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন, হ্যালো শুকরিয়া, যিনি তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন। মানুষের দুঃখে মর্ম বেদনা অনুভব করা, সহমর্মী হওয়া ইসলামের শিক্ষা। মুতার যুদ্ধে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জাফর তাইয়ার (রা;) শাহাদাত বরণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তখন বহু দূরে মদিনায় অবস্থান করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা তাকে এখনই এই খবর জানিয়ে দিলেন। তিনি এরপর জাফর (রা;) বাড়িতে গেলেন। তার সন্তানদের জড়িয়ে ধরে চুমু দিলেন, তার চোখ থেকে অঝোরে ধারায় অশ্রু ঝরতে লাগল। তিনি সবাইকে বলে দিলেন, জাফর (রা;) পরিবারের প্রতি যেন বিশেষ নজর রাখা হয়।
সবাই তখন জাফর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আন এর বাড়িতে খাবার রান্না করে পাঠিয়েছিলেন। কেউ মারা গেলে তার পরিবারের সবাই সুখ বিষবস্ত থাকে। স্বাভাবিকভাবে রান্না করে খাওয়ার মত মানসিক শক্তিও অবশিষ্ট থাকেনা। এজন্য মহানবী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশনা হল, মৃতের বাড়িতে রান্না করে খাবার পাঠানো। এটা ইসলামের সহমর্মিতা বোধের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন।
ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি ও মহানবি (সা:) সহমর্মিতা প্রদর্শন করেছেন। কারণ তিনি বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণকামী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
মহানবী (সাঃ) এর জীবনীতে আমরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি সহমর্মিতার অসংখ্য উদাহরণ পাই। অনুরূপভাবে তিনি তার উম্মতকে সকল সৃষ্টির প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। একবার হরযত আসমা বিন্তে আবু বক্কর এর মা আসমার কাছে বেড়াতে এলেন। তিনি সঙ্গে করে মেয়ের জন্য কিছু উপহার এনেছিলেন।
কিন্তু তিনি অমুসলিম ছিলেন বলে আপনারা আল্লাহু তাআলা আনহু সেগুলো গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করেন, আমার মা তো অমুসলিম। মায়ের সঙ্গে আমি কেমন আচরণ করব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু কে নির্দেশনা দিলেন আসমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে, তিনি যেন তার মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন।
মক্কার কুরাইশ কাফেররা সব সময় মহানবী সাল্লাল্লাহু সালামকে হত্যা করতে চেয়েছে, ইসলামকেও নিশ্চিত করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু মহানবী (সাঃ) মক্কা বিজয়ের দিন তাদের সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দেন। অভিভূত হয়ে তখনই অসংখ্য অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে বদর যুদ্ধের সময় যেসব কাফের মুসলমানদের হাতে বন্দি হয়েছিল তাদের সঙ্গে ও তিনি সহমর্মি হতে এবং সদ্যব্যবহার করা নির্দেশ দিয়েছিলেন।
খন্দকের যুদ্ধের পরে বর্ণ হানিফা গোত্রের প্রধান হযরত সুমামা ইবন উশাল রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি যখন মক্কায় গেলেন মক্কার কাফেররা বলল সুমামা তুমি তো ধর্মত্যাগী হয়েছ। সুমামা তখন বললেন আমি মুসলিম হয়েছি। যতক্ষণ না রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আদেশ দেন তোমাদের এক দানা গমও আমি পাঠাবো না।
এরপর সুমামা নিজ এলাকায় ফিরে এসে মক্কার গম রপ্তানি বন্ধ করে দেন। কুরাইশরা দারুন খাদ্য হবে পড়ে গেল। তখন তারা রাসুল (সাঃ) কে খাবারের জন্য অনুরোধ করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু অনতি বিলম্বে সুমামাকেগণ সরবরাহ করার আদেশ করলেন। সুমামা পুনরায় গম সরবরাহ শুরু করেন। মক্কা বাসীর খাদ্য অভাব দূর হলো।
অথচ মক্কার কাফের কুরাইশরা তখনও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ইতি পড়বে তারায় মনে সালাহ সালাম কে তিন বছর খাদ্য পানিও না দিয়ে শিয়াবে আবু তালিব উপত্যকায় আটকে রেখেছিল। মহানবী সাঃ চাইলে তার শত্রুদের খাদ্যের কষ্ট দিয়ে দুর্বল করে ফেলতে পারতেন। কিন্তু এই ভয়াবহ নির্দয় শত্রুর প্রতিও তিনি অসাধারণ সহ মর্মমিতা দেখালেন।
পরবর্তীকালে খোলাফায়ে রাশে দিন ও মহান রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই আদর্শও অনুসরণ করেছেন। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু যখন কোন অমুসলিম দারিদ্র ব্যক্তি পেতেন, তাকেও বায়তুল মাল থেকে মুসলিম ব্যক্তির মত সহযোগিতা করতেন।
পবিত্র কোরআনে এমন সহমিতা পূর্ণ আচরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, যারা দিনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধরত নয় এবং ভূমি থেকে তোমাদেরকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভতা দেখাতেও নেই বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। (সূরা মুনতাহিনা আয়াত ৮)
সহমর্মিতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
মানব জীবনের সহমর্মমিতার চর্চা থাকা খুবই জরুরী। সহমর্মমিতা মানুষের মানবিকতা প্রকাশ পায়। পারস্পারিক সহমর্মমিতা না থাকলে সমাজ থেকে মানসিকভাবে নিঃসঙ্গ থাকবে। তখন কেউ বিপদে-আপদে কারো পাশে দাঁড়ায় না, পারিবারিক বন্ধন ভেঙে পড়তে, ব্যক্তিগত সুবিধা অসুবিধা বলার মত কাউকে পাওয়া যায় না। এর ফলে মানসিক সমস্যা ও বেড়ে যায়।
সমাজে অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ার একটি বড় কারণ সহমর্মিতার অভাব। সহমর্মমিতা থাকলে সমাজের সংহতি থাকে। সামাজিক সংহতি থাকলে সমাজের সকল মানুষ মিলেমিশে আনন্দে জীবনযাপন করতে পারে। হাদিসে সমগ্র মুসলিম জাতিকে একটি মানব দেহের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মানব দেহের পিরিত হলে পুরো শরীল জরাক্রান্ত হয়ে পড়ে, হরিদ্রা পেয়ে বসে।
প্রভাবে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে কোন মুসলিম সমস্যায় পড়লে অপর মুসলিম মন আবেদনা অনুভব করে। সহমর্মী ব্যক্তিকে আল্লাহ দুনিয়া আখেরাত সর্বত্র সাহায্য করেন। মহান আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের প্রার্থীব কষ্টের একটি দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার একটি কষ্ট দূর করে দেবেন।
যে ব্যক্তি অভাবীর কোন অভাবের অভাবে কষ্ট লাঘব করে, মহান আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের কষ্ট লাভকব করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আল্লাহ বান্দার সহায়তা থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সহায়তা থাকে। ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সঙ্গে সহমর্মিতার সরাসরি সংযোগ রয়েছে।
যেমন হাদিসে রমজান মাস সহমর্মিতাকে মাস বলা হয়। দান সদকা করা, যাকাত দেওয়া, খাদ্য প্রদান করা, ইয়াতিম ও বিধবাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম আখেরাতে মহাপুরুষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা বাস্তব জীবনে ইসলামের সহমর্মিতার শিক্ষা প্রয়োগ করবো।। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কেউ কষ্টে থাকলে সহমর্মী হয়ে তার পাশে দাঁড়াবো। তাকে সান্তনা দেব।
তার দুঃখ কষ্ট লাগুক করার চেষ্টা করব। টাকা প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করব। ইসলামের এই শিক্ষা আমি মেনে চললে আমরা নিজেরাও যখন কোন বিপদে পড়বো যখন কোন বিপদে পড়বো আল্লাহ সাহায্য আমাদের সঙ্গে থাকবে। সবাই আমাদের প্রদীসহ সহমর্মী হবে। সামাজিকভাবে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন।
কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url