প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পরের আমল সমূহ

যেসব ইবাদত পরিত্যাগ করলে মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার একটি হচ্ছে সালাত। সালাত এমন একটি ইবাদত যা ত্যাগ করলে মানুষের আর কোন ইবাদত গ্রহণ করা হবে না। সালাত ত্যাগ করলে মুসলিম আর মুসলিম থাকে না। সালাত ত্যাগকারীর ঠিকানা জাহান্নাম। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ভীতি ও তাকওয়ার সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তার অন্তর নূরের আলোয় আলোকিত হবে। 

পাপের প্রতি তার মনে ঘৃণার সৃষ্টি হবে। আর সে হবে আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী ও প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। তার জন্য আল্লাহই হবে যথেষ্ট।

আর এই সালাতের পরবর্তীতে কিছু দোয়া, জিকির ও তাসবিহ আছে। যা আমলের মাধ্যমে ব্যক্তির জীবনকে আরো সুন্দর ও আলোকিত করে তুলে। জীবন হয় বরকতময় ও সুশৃংখল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক ফরজ নামাজের শেষে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ওইগুলো পড়ে বা কাজে লাগায়— সে কখনো ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১২৩৭)

যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম আমল গুলো করেছেন। সেহেতু আমল গুলো করা সুন্নত। নিচে ধারাবাহিকভাবে আমলগুলো উল্লেখ করা হলো -
  • প্রত্যেক ফরয সালাতের সালাম ফিরানোর পরেই একবার "আল্লাহু আকবার"বলা।
  • রাসুল (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্‌ বলতেন। (মুসলিম, হাদিস : ১২২২)
অন্য এক হাদিসে হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজ শেষে তিনবার ইসতেগফার (আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে) اَسْتَغْفِرُ الله পড়তেন।

উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ।

অর্থ: "আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি"।


তারপর একবার বলতেন-

اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আংতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারাকতা ইয়া জাল ঝালালি ওয়াল ইকরাম।’

অর্থ : "হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!" (মুসলিম, মিশকাত)

অন্য এক হাদিসে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) নামাজের সালাম ফেরানোর পর এই দোয়া বলতেন-

اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম তাবারকতা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম।

অর্থ : "হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয় । আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!" (মুসলিম, হাদিস : ৫৯২; তিরমিজি, হাদিস : ২৯৮-২৯৯; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১২)

(৪)

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাস প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সালাম ফিরিয়ে (তিনবার)বলতেন-

لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহু হামদ, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’

অর্থ : "একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তার কোন শরিক নেই, রাজত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসাও তার, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।" (বুখারী ও মুসলিম)

(৫)

اللّهُـمَّ لا مانِعَ لِما أَعْطَـيْت وَلا مُعْطِـيَ لِما مَنَـعْت وَلا يَنْفَـعُ ذا الجَـدِّ مِنْـكَ الجَـد

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা লা মানিআ লিমা আত্বাইতা, ওয়া লা মুত্বিয়া লিমা মানাতা, ওয়া লা ইয়াংফাউ জাল ঝাদ্দি মিনকাল ঝাদ্দি।’

অর্থ : "হে আল্লাহ! আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই । আর কোন ক্ষমতা প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতাও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোন উপকারে আসবে না।" (সহীহ বুখারী: ৮৪৪ ; মুসলিম: ৫৯৩)

(৬)

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু। ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা হাউলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। ওয়া লা না’বুদু ইল্লা ইয়্যাহু। লাহুন নি’মাতু ওয়া লাহুল ফাজলু। ওয়া লাহুস সানাউল হাসানু। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসিনা লাহুদ দ্বীনা। ওয়া লাউ কারিহাল কাফিরূন।

অর্থ : "একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসাও তার, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোন উপায় এবং (সৎ কাজ করার) কোন শক্তি নেই । 

আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমরা কেবল তারই ইবাদত করি, নেয়ামত সমূহ তারই, যাবতীয় অনুগ্রহ তার এবং উত্তম প্রশংসা তারই। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, আমরা তার দেওয়া দ্বীনকে একনিষ্ঠ ভাবে মান্য করি, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে "। (সহীহ মুসলিম :৫৯৪)

(৭)

اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শোকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জিকির করার সুযোগ দাও। তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ দাও। সুন্দরভাবে তোমার ইবাদতের সুযোগ দাও।

(৮)

সুবহানাল্লাহ [৩৩ বার], আলহাদুলিল্লাহ [৩৩ বার], আল্লাহু আকবার [৩৩ বার], [লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু; লাহুল মুলকু; ওয়ালাহুল হামদু; ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির) (১ বার)। এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (মুসলিম, হাদিস : ১২৪০)

অন্য এক হাদিসে আছে -সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার আল্লাহু আকবার ৩৩ বার ১০০ বার পূর্ণ করার জন্য পড়বেন,

لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكَ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْر

উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহু হামদ, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’

অর্থ : "একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তার কোন শরিক নেই, রাজত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসাও তার, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।" (সহীহ মুসলিম: ৫৯৭)

(৯)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়বে, তার জন্য জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতীত আর কোনো বাঁধা থাকবে না।’ (নাসায়ি, হাদিস : ৯৪৪৮; তাবারানি, হাদিস : ৭৮৩২)

আয়াতুল কুরসি হচ্ছে সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত।

আয়াতুল কুরসি-


اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-

উচ্চারণ : আল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম, লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহু মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্ব। মান জাল্লাজি ইয়াশফা’উ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহি ইল্লা বিমা- শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যূল আজিম।

অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁকে সুপারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পেছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। 

তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান।

অর্থাৎ তার কুরসী, যা আরশের সামনে রয়েছে আর যা আরশের তুলনায় অনেক ছোট। সে কুরসীতে সাত আসমান ও সাত জমিন সামান্য সাতটি মুদ্রার মত। সুতরাং আসমান ও জমিনের তুলনায় কুরসী কত বড় আর কুরসীর তুলনায় আরশ কত বড়! আর আরশ আল্লাহর সবচেয়ে বড় সৃষ্টি। রাব্বুল আলামিন! তিনি সবকিছু থেকেই বড়।

(১০)

প্রত্যেক সালাতের পর একবার সূরা ইখলাস, সূরা ফালাকও সূরা নাস পড়া,

সূরা ইখলাস -

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ

اللَّهُ الصَّمَد

لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ

وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।’

অর্থ : পরম করুনাময়, অসীম দয়াযবান আল্লাহর নামে। "বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেউ কেউ জন্ম দেয়নি। আর তার সমতুল্য কেউ নেই।

সূরা ফালাক -

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلْفَلَقِ

مِن شَرِّ مَا خَلَقَ

وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ

وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِى ٱلْعُقَدِ

وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।

অর্থ : পরম করুনাময়, অসীম দয়াবান আল্লাহর নামে। "বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি উষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।

সূরা নাস-

بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ

مَلِكِ النَّاسِ

إِلَهِ النَّاسِ

مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ

الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ

مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। কুল আউযু বিরাব্বিন নাস। মালিকিন্ নাস। ইলাহিন্ নাস। মিন্ শররিল ওয়াস্ ওয়াসিল খান্নাস। আল্লাযী ইউওযাসবিসু ফী ছুদুরিন্নাস। মিনা জিন্নাতি ওয়ান্নাস।

অর্থ : পরম করুণাময়, দয়াবান আল্লাহর নামে। "বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণা দাতার অনিষ্ট হতে ;যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্যে থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে। (আবু দাউদ :১৫২৩; তিরমিজি :২৯০৩)

(১১)

ফজর সালাতের সালাম ফেরানোর পর যে দোয়া পড়তে হয় -

হজরত উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ফজরের নামাজের সালাম ফিরিয়ে নবিজী বলতেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফেয়া ওয়া রিযকান তাইয়্যেবা ওয়া আমালান মুতাক্বাব্বালা।’

অর্থ : "হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান চাই, পবিত্র রিযিক চাই এবং কবুলযোগ্য আমল চাই।" (ইবনে মাজাহ: ৯২৫ ও মুসনাদে আহামদ)

(১২)

মাগরিব ও ফজরের সালাতের পর এই দোয়া ১০ বার করে পড়তে হবে-

لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يهي ويميتو وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু। ওয়ালাহুল হামদু। ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থ : "একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তার কোন শরিক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তার। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।" (ইবনে মাজাহ :৯২৫)

আমাদের সকলের উচিৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর জীবনের মত করে আমাদের নিজেদের জীবনকে সাজানো। তার দেখানো পথে চলা। তাহলেই হবে আমাদের জীবন হবে শান্তিময় ও সুশৃংখল। পাওয়া যাবে আল্লাহর অশেষ রহমত, ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি।

উপরে উল্লেখিত সুন্নতি আমল গুলো আল্লাহ আমাদের সকলকে করার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url