একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ননা

একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার গঠন অনেকেরই অজানা। আপনি কি একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে আমাদের এ পোস্টটি আপনার জন্য। একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার গঠন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে হলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। অজানা বিষয়কে জানুন এবং নিজের জ্ঞানের পরিসীমা বৃদ্ধি করুন। 

ব্যাকটেরিয়ার সংজ্ঞা 

ব্যাকটেরিয়া হলো এককোষী অণুবীক্ষণীক অণুজীব। এরা আদি নিউক্লিয়াস যুক্ত ও অসবুজ হয়ে থাকে। এরা আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত প্রোক্যারিওটিক জীব। এরা গোলাকৃতি, দন্ডাকৃতি, সর্পিলাকৃতি বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। মৃতজীবী বা পরজীবী হিসেবে বসবাসকারী ক্লোরোফিলবিহীন, অণুবীক্ষণিক, আদিকোষী, এককোষী, সাধারণত দ্বি-বিভাজন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে সে সমস্ত অনুজীব সমূহ কে ব্যাকটেরিয়া বলে। 

একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়ার গঠন বর্ণনা

ব্যাকটেরিয়া শব্দটি একবচন বহুবচনে ব্যাকটেরিয়াম। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সহায়তায় ব্যাকটেরিয়াম কোষের সূক্ষ্ম গঠনের যেসব তথ্য জানা গেছে তা থেকে স্পষ্ট ভাবে প্রতিমান হয় যে, ব্যাকটেরিয়াম কোষের প্রকৃতি সত্যিই খুব জটিল। আবার বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার দৈহিক গঠনেও বেশ কিছু বৈচিত্র দেখা যায়। একটি আদর্শ ব্যাকটেরিয়াম কোষকে প্রধানত দুইটি অংশে ভাগ করা হয়। যথা- 

  • জটিল আবরণী
  • প্রোটোপ্লাস্ট

জটিল আবরণী 

বাইরে থেকে ভেতরের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, ব্যাকটেরিয়াম কোষের জটিল আবরণীটি তিনটি পৃথক স্তর দ্বারা গঠিত। যথা- স্লাইম স্তর বা ক্যাপসিউল, কোষ প্রাচীর এবং সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন। 

স্লাইম স্তর বা ক্যাপসিউল

ব্যাকটেরিয়াম কোষের জটিল আবরণীর সবচেয়ে বাইরের স্তরটির নাম স্লাইম স্তর বা ক্যাপসিউল। কিন্তু স্তরটি সান্দ্র, শক্ত, সুগঠিত এবং দৃঢ় প্রকৃতির হলে তার নাম হয় ক্যাপসিউল। বিশেষ পদ্ধতিতে রঞ্জিত করলে আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে ও ক্যাপসিউল দৃষ্টি গোচর হয়। 

স্লাইম স্তর বা ক্যাপসিউল এর কাজ: ক্যাপসিউল এর প্রধান কাজ ব্যাকটেরিয়াম কোষকে রক্ষা করা। ক্যাপসিউল এ আত্নীকরণ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে। ক্যাপসিউল ব্যাকটেরিয়ামকে তার সাবস্ট্রেট এর সাথে সংযুক্ত থাকতে সহায়তা করে। 

কোষ প্রাচীর

স্লাইম স্তর বা ক্যাপসিউল এর ভেতরে এবং সাইটোপ্লাজমিক স্তরের বাইরের স্তরটির নাম হলো কোষ প্রাচীর। এ স্তরটি পুরু, অপেক্ষাকৃত দৃঢ় এর স্থিতিস্থাপক। কোষ প্রাচীরের পুরুত্ব ১০ থেকে ২৫ ন্যানোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কোষ প্রাচীরের রাসায়নিক উপাদান পেপটিডোগ্লাইকান এবং আড়া-আড়িভাবে সংযুক্ত অদ্রবণীয় পলিমার দিয়ে পেপটিডোগ্লাইকান গঠিত হয়েছে। 

এন অ্যাসিটাইল গ্লুকোজ অ্যামাইন এবং এন অ্যাসিটাইল মিউরেমিক এসিড নামক দুধরনের অ্যাসিটাইল অ্যামাইনো শর্করা হচ্ছে পেপটিডোগ্লাইকানের মূল উপাদান। ব্যাকটেরিয়াম এর কোষ প্রাচীরে পেপটিডোগ্লাইকান ছাড়াও ডাই-অ্যামাইনো পামলিক এসিড, অ্যামাইনো এসিড, ট্যাকোয়িক এসিড, পলিস্যাক্কারাইড ও লিপিড থাকতে পারে। 

কোষ প্রাচীর এর কাজ: কোষ প্রাচীর ব্যাকটেরিয়াকে নির্দিষ্ট আকার দান করে। কোষ প্রাচীর কোষ মধ্যস্ত প্রোটোপ্লাস্টকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে। ব্যাকটেরিয়াম বৃদ্ধি ও বিভাজন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন

কোষ প্রাচীর ও প্রোটোপ্লাস্ট এর মধ্যবর্তী সজীব স্তরটির নাম সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন। অনেকে এই স্তরটিকে প্লাজমা মেমব্রেন বা সেল মেমব্রেন বলে থাকেন। এ স্তরটির পুরুত্ব ৭.৫ ন্যানোমিটার। ব্যাকটেরিয়াম কোষের সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন অন্যান্য অনুজীবের সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। 

সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন এর গঠন ফ্লুইড মোজাইক মডেল এর অনুরূপ। সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন একটি Setectively Semipermeable membrane বা নির্বাচক অর্ধভেদ্য ঝিল্লি। 

সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন এর কাজ: সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন এর মাধ্যমেই কোষের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পদার্থের অনুপ্রবেশ এবং সাইটোপ্লাজম থেকে ক্ষতিকারক পদার্থের বর্হিগমন নিয়ন্ত্রিত হয়। সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন এর ভেতর দিয়েই শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম সমূহ সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে। 

প্রোটোপ্লাস্ট

কোষ প্রাচীরকে বাদ দিয়ে সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন দ্বারা আবৃত ব্যাকটেরিয়াম কোষের সমুদয় অংশটির নাম প্রোটোপ্লাস্ট। প্রোটোপ্লাস্ট হচ্ছে কোষের সজীব উপাদান। সাইটোপ্লাজম সহ নিউক্লিয় এবং কোষীয়  অন্যান্য বস্তু সমূহ প্রোটোপ্লাস্ট এর অন্তর্গত। প্রোটোপ্লাস্টকে প্রধানত দুই অংশে ভাগ করা যায়। যথা- 

  • সাইটোপ্লাজম ও 
  • নিউক্লিওয়েড 

সাইটোপ্লাজম 

ব্যাকটেরিয়াম এর সাইটোপ্লাজম মূলত একটি বর্ণহীন সমসত্ব জলীয় দ্রবণ। এ জলীয় দ্রবণ গঠিত হয়েছে অতি উচ্চ আণবিক ওজনের tRNA, নিউক্লিয় বস্তু, রাইবোজোম, বিভিন্ন ধরনের এনজাইম, শর্করা, লিপিড, অজৈব লবণ ও প্রোটিনের সমন্বয়ে। 

সাইটোপ্লাজম এর কাজ: সাইটোপ্লাজম এর মূল কাজ হলো খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা। সাইটোপ্লাজম এর ভেতর সঞ্চিত খাদ্য হিসেবে শ্বেতসার, গ্লাইকোজেন ও ভলিউটিন থাকে। এসব সঞ্চিত খাবার এর উপস্থিতির কারণেই সাইটোপ্লাজমকে একটি দানাদার গঠন বলে মনে হয়। 

রাইবোজোম

ব্যাকটেরিয়াম কোষের সাইটোপ্লাজম এর মধ্যে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ক্ষুদ্র ও প্রায় গোলাকার যেসব ফাঁপা বস্তু দেখা যায় সেগুলোর নাম রাইবোজোম। 

রাইবোজোম এর কাজ: রাইবোজোম এর কাজ হলো প্রোটিন সংশ্লেষণ করা। বার্তাবাহক RNA বা mRNA এর সহায়তায় রাইজোসোম প্রোটিন সংশ্লেষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এজন্যই রাইবোজোমের অপর নাম Protein Synthesis house বা প্রোটিন সংশ্লেষণের কারখানা।

মেসোজোম 

সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন কোন কোন স্থানে কোষের ভেতরের দিকে বর্ধিত হয়ে ফাঁসের মতো যে গঠন সৃষ্টি করে তার নাম মেসোজোম। প্রকৃতপক্ষে মেসোজোম সাইটোপ্লাজমিক মেমব্রেন এর এক ধরনের প্রসারন এবং এ প্রসারণটি ঘটে সাইটোপ্লাজমের ভেতরের দিকে। 

মেসোজোম এর কাজ: মেসোজোম সাইটোপ্লাজমিক পর্দা ও নিউক্লিয়ায়েড এর সাথে সংযোগ রক্ষা করে। 

ল্যামেলি ও ভেসিকল 

মেসোজোমের পর্দায় কুন্ডলীর মত গুটিয়ে যাওয়া অংশগুলোকে ল্যামেলি ও ফোস্কার মত গোলাকার গঠনগুলোকে ভেসিকল বলে। 

ক্রোম্যাটোফোর 

ফটোসিনথেটিক ব্যাকটেরিয়ার কোষে বর্ণ কণিকাধারী যে অংশটি থাকে তার নাম ক্রোমোটোফোর। ল্যামেলী বা থাইলাকয়েড অংশেও এ ধরনের বর্ণ কণিকা দেখা যায়। এ জাতীয় ক্রোম্যাটোফোরকে ব্যাকটেরিওক্লোরোফিল ও ব্যাকটেরিওভিরিডিনও বলা হয়। 

ক্রোম্যাটোফোর এর কাজ: স্বভোজী ব্যাকটেরিয়ার দেহে ফটোফসফোরাইলেশন এর সময় এ ধরনের ক্রোমাটোফোর ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য তৈরীর কাজে অংশগ্রহণ করে। 

গহ্বর 

ব্যাকটেরিয়া কোষের সাইটোপ্লাজমে ছোট বড় নানা আকারের গহবর দেখা যায়। আপাতঃ দৃষ্টিতে এগুলোকে শূন্য মনে হলেও এদের মধ্যে কোষ রস থাকে। 

গহ্বর এর কাজ: কোষ রস জমা করে রাখা গহ্বর এর কাজ। এছাড়াও ব্যাকটেরিয়াম কোষের দ্রবনীয় খাদ্য বস্তু ও গহ্বরের মধ্যে জমা করে রাখা গহ্বরের কাজ। 

ভলিউটিন

তরুণ ব্যাকটেরিয়া কোষের সাইটোপ্লাজম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানার আকারে যেসব বস্তু ইতস্তঃ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়ানো থাকে এদের নাম ভলিউটিন দানা। 

ভলিউটিন এর কাজ: কোষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ভলিউটিন দানা সাইটোপ্লাজমের অভ্যন্তরস্থ কোষ গহব্বরে স্থানান্তরিত করা এর কাজ। 

সঞ্চিত খাদ্য 

ব্যাকটেরিয়া কোষের সাইটোপ্লাজমে ভলিউটিন ছাড়াও কিছু দানাদার বস্তু ছড়ানো থাকে। এগুলো সঞ্চিত খাদ্য। ব্যাকটেরিয়া কোষের সঞ্চিত খাদ্যের মধ্যে শ্বেতসার, গ্লাইকোজেন, চর্বি, প্রোটিন প্রভৃতি জৈব পদার্থ এবং ফসফরাস, লৌহ, সালফার ঘটিত অজৈব খাদ্য কণাও থাকে। 

নিউক্লিওয়েড

ব্যাকটেরিয়াম এর কোষে কোন সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই। অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়াম একটি প্রোক্যারিওটিক অণুজীব। ব্যাকটেরিয়াম কোষের নিউক্লিওবস্তুর নাম নিউক্লিওয়েল। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সহায়তায় দেখা গেছে যে, ব্যাকটেরিয়াম কোষের DNA দ্বিসূত্রক। 

ব্যাকটেরিয়াম কোষের DNA এর ভর দৈর্ঘ্য ১০০০ মিলি মাইক্রন DNA তন্তুটি প্যাঁচানো এবং ক্ষুদ্র ঘনবস্তুর মত কোষের মাঝখানে অবস্থিত। ব্যাকটেরিয়াম কোষে নিউক্লিয়াস DNA ছাড়াও বহি ক্রোমোজোমীয় দ্বিসূত্র DNA থাকে। এটি প্লাজমিড নামে পরিচিত। প্লাজমিড DNA তে কিছু সংখ্যক জিন থাকলেও সেগুলো ব্যাকটেরিয়াম এর জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়। 

প্লাজমিড স্বাধীনভাবে প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ব্যাকটেরিয়াম কোষের জেনেটিক পদার্থ অর্থাৎ DNA টি কোষস্থ সাইটোপ্লাজমের প্রায় সমগ্র অংশে পরিব্যাপ্ত। সেজন্যই ব্যাকটেরিয়াম এর DNA বা জেনেটিক পদার্থটিকে জিনোফোর বলা হয়। 

ব্যাকটেরিয়া কোষে নিউক্লিয়ার বস্তু হিসাবে DNA ছাড়াও ক্রোমটিন বডি এবং নিউক্লিয়ার সমতুল্য দানা বিদ্যমান। ব্যাকটেরিয়াম এর নিউক্লিওয়েড গোলাকার দীর্ঘায়ত, ডাম্বেল আকৃতির অথবা অনিয়মিত আকৃতিরও হতে পারে। 

নিউক্লিওয়েড এর কাজ: বংশগতির পদার্থ হিসাবে কাজ করে। প্রজনন ও বংশানুক্রমিক চরিত্র নিয়ন্ত্রণ করে। DNA অনুলিপনে সহায়তা করে এবং এনজাইম তৈরি করে। 

ফ্ল্যাজেলা 

সাধারণত ব্যাকটেরিয়া কোষে ফ্ল্যাজেলা না থাকলেও কতিপয় চলনক্ষম ব্যাকটেরিয়াতে ফ্লাজেলা নামক এক বা একাধিক অঙ্গ থাকে।  এসব অঙ্গ দেখতে চাবুকের মত এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করতে সহায়তা করে। 

ফ্ল্যাজোলাম এর উৎপত্তি কোষ ঝিল্লির নিচে সাইটোপ্লাজমিক স্তরের এক ধরনের দানাদার গঠন ব্লেফারোপ্লাস্ট থেকে। ফ্ল্যাজেলাম মূলত একটি চলন অঙ্গ। অধিকাংশ ব্যাকটেরিয়াতে ফ্ল্যাজেলাম এর আকার ও আকৃতি প্রায় অভিন্ন। সাধারণত প্রতিটি ফ্ল্যাজেলাম এর প্রস্থ ০.০১ থেকে ০.০৫ মিলি মাইক্রন এবং দৈর্ঘ্য ২ থেকে ৭০ মিলি মাইক্রন হতে পারে। 

প্রজাতি ভেদে ফ্ল্যাজেলাম এর পুরুত্ব বিভিন্ন হতে পারে। ফ্ল্যাজেলিন নামক একটি বিশেষ ধরনের প্রোটিন যোগের সাথে যুক্ত থাকে।  N-methyle-lysine বা এপসিনল নামক একটি বিশেষ ধরনের অ্যামাইনো এসিড। সাধারণত তিনটি অংশ নিয়ে প্রতিটি ফ্ল্যাজেলাম এর দেহ তৈরি হয়। 

অংশ তিনটির নাম হলো- ফিলামেন্ট, হুক এবং ব্যাসাল বডি।  গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়াম এ ব্যাসাল বডির গোড়ার দিকে সীথ নামক অপর একটি অংশ থাকে। অনেক সময় সীথটি কোষ প্রাচীর  ছাড়িয়ে বাইরেও দেখা যায়। 

ফ্ল্যাজেলাম এর কাজ: ব্যাকটেরিয়ার চলনে সহায়তা করায় ফ্ল্যাজেলামের প্রধান কাজ। কোন তরল মাধ্যমে ফ্ল্যাজেলার ছন্দায়িত আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়ার চলন সম্পন্ন হয়। ব্যাকটেরিয়ার দেহের চারপাশের জলীয় পরিবেশের খাদ্যের প্রাচুর্য কিংবা বিষাক্ত পদার্থের ঘাটতি ফ্ল্যাজেলার প্রধান গতির উপর নির্ভরশীল। 

পিলি বা ফিম্বি

ব্যাকটেরিয়ার দেহে ফ্ল্যাজেলার চেয়ে ছোট, সরু চুলের মত যে সব ও অঙ্গ দেখা যায় সেগুলো পিলি বা ফিম্বি নামে পরিচিত। বিশেষ ধরনের প্রোটিন পিলিন দিয়ে পিলির দেহ গঠিত। এরা এত ছোট যে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায় না। 

পিলির প্রস্থ ০.০০৭ থেকে ০.০০৮ ন্যানোমিটার এবং দৈর্ঘ্য ০.৫ থেকে ২০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পিলি সাধারণত সাইটোপ্লাজম থেকে উৎপন্ন হয়ে কোষের বাইরে উদগত হয়। পিলির দেহের প্রোটিনের সাব ইউনিটগুলো হেলিক্যাল পদ্ধতিতে সাজানো। 

পিলির কাজ: ব্যাকটেরিয়াম কোষকে Substrum বা পোষক দেহের সাথে আটকে থাকতে সাহায্য করে। তরল কর্ষণ মাধ্যমের উপরিতলে পেলিকল গঠনের সহায়তা করে। এক কোষ থেকে অন্য কোষে জেনেটিক পদার্থের প্রবেশে সহায়তা করে। 

অজানা বিষয়গুলো জানতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ! 

আরও পড়ুনঃ ব্যাকটেরিয়ার পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url