ভাজক টিস্যু কাকে বলে? ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্য

আজকে আমরা জানবো ভাজক টিস্যু কাকে বলে। ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্য, কাজ এবং প্রকারভেদ। বিস্তারিত জানতে পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।


ভাজক টিস্যু কাকে বলে

জীবদেহের কিছু কিছু কোষগুচ্ছে কোষের অবিরাম বিভাজনের ফলে জীবদেহের বৃদ্ধি ঘটে থাকে। যে কোষগুলো বিভাজিত হতে পারে সেগুলো হলো ভাজক কোষ, আর ভাজক কোষ দিয়ে গঠিত টিস্যুই হলো ভাজক টিস্যু।

সংজ্ঞাঃ যেসকল টিস্যুর কোষগুলো অপরিণত অবস্থায় থাকে এবং সবসময়ই বিভক্ত হয়ে নতুন অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাদের কে ভাজক টিস্যু বলে।

ভাজক টিস্যুর বৈশিষ্ট্য

নিম্নে ভাজক টিস্যুর উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলোঃ
  • ভাজক টিস্যুর কোষগুলো জীবিত ও অপেক্ষাকৃত ছোট।
  • কোষের নিউক্লিয়াস তুলনামূলক ভাবে বড় এবং সাইটোপ্লাজম ঘন হয়ে থাকে।
  • টিস্যুর কোষগুলোতে সেলুলোজ দিয়ে তৈরি পাতলা কোষপ্রাচীর থাকে।
  • ভাজক টিস্যুর কোষে সাধারণত কোষগহ্বর থাকে না।
  • এই কোষগুলো সাধারণত আয়তাকার, ডিম্বাকার, পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজাকার হয়।
  • কোষগুলে ঘন সন্নিবিষ্ট হওয়ায় এদের মধ্যে আন্তঃকোষীয় ফাঁক থাকে না।
  • কোষে কোনো প্রকার সঞ্চিত খাদ্য, ক্ষরিত বস্তু বা বর্জ্য পদার্থ থাকে না।

ভাজক টিস্যুর প্রকারভেদ

উৎপত্তি অনুসারে ভাজক টিস্যু ৩ প্রকার। যথাঃ

  • প্রারম্ভিক ভাজক টিস্যু,
  • প্রাইমারি ভাজক টিস্যু,
  • সেকেন্ডারি ভাজক টিস্যু।

অবস্থান অনুসারে ভাজক টিস্যু ৩ প্রকার। যথাঃ

  • শীর্ষস্থ ভাজক টিস্যু,
  • নিবেশিত ভাজক টিস্যু,
  • পার্শ্বীয় ভাজক টিস্যু।

বিভাজন অনুসারে ভাজক টিস্যু ৩ প্রকার। যথাঃ

  • মাস ভাজক টিস্যু,
  • প্লেট ভাজক টিস্যু,
  • রিব ভাজক টিস্যু।

কাজ

  • ভাজক টিস্যুর বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদ দৈর্ঘ্যে এবং প্রস্থে বৃষ্টি পায়।
  • ভাজক টিস্যু থেকে স্থায়ী টিস্যু তৈরি হয়।
  • ভাজক টিস্যু বিভাজনের মাধ্যমে ক্ষতস্থান পূরণ করে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন। 

কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।

আরও পড়ুনঃ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url