একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণীদের উদাহরণ এবং একাইনোডার্মাটা পর্বের বৈশিষ্ট্য

আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হলো একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণীদের উদাহরণ এবং একাইনোডার্মাটা পর্বের বৈশিষ্ট্য। বিস্তারিত জানতে আমাদের পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন। ছেড়ে বা বাদ দিয়ে দিয়ে পড়লে অনেক কিছুই আপনার বোধগম্য হবে না। অতএব পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণীদের উদাহরণ

যথারীতি একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণী দের ক্ষেত্রে নামের অর্থ বুঝলেই বৈশিষ্ট্য গুলো আন্দাজ করা যায়। গ্রিক শব্দ echinos এর অর্থ হলো ত্বক। নাম দেখেই বুঝতেই পারছ একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণী দের দেহ ত্বক কাটা দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। একাইনোডার্মাটা পর্বের সকল প্রাণী সামুদ্রিক পরিবেসে বাস করে। এদের আলাদা মাথা নেই। 

প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো একাইনোডার্মাটা পর্বের সকল প্রাণীদের মধ্যে যেটা দেখা যায় তার নাম হলো অরীয় প্রতিসাম্য। এছারা একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণী দের আরেকটা বৈশিষ্ট্য হলো এদের সারা দেহে বেশ কিছু সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত পানি সংবহনতন্ত্র রয়েছে। এই তন্ত্রের মাধ্যমে শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ ও রেচন সহ বেশ কিছু কাজ সম্পন হয়। শুধু তাই নয়, এই তন্ত্রের সাথে যুক্ত থাকে অসংখ্য পেশিবহুল নলাকৃতির পা। 

এই নলগুলোতে পানির চাপ হ্রাসবৃদ্ধি মাধ্যমে এগুলোর সংকোচন প্রসারণ ঘটে, আর এর মাধ্যমেই এ প্রাণীরা চলাচল করে। একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণীর মধ্যে আছে স্টার ফিস বা তারা মাছ, সি অর্চিন, সি কিউকাম্বার ইত্যাদি। এই প্রাণীরা দেখতে এত বিচিত্র হলেও এ একাইনোডার্মাটা পর্বের প্রাণীদের সঙ্গেই আমাদের কর্ডাটা পর্বের প্রাণীদের ( মানুষ যেই পর্বের অন্তর্ভুক্ত) বৈশিষ্ট্যর সবচেয়ে বেশি মিল পাওয়া যায়।

একাইনোডার্মাটা পর্বের বৈশিষ্ট্য

  • গঠন ও কোষের বিন্যাসঃ একাধিক অঙ্গের সমন্বয়ে সুগঠিত তন্ত্র গঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে শরীরবৃত্তীয় কাজ সম্পাদন হয়।
  • দেহের প্রতিসাম্যঃ ভ্রূণ থাকা অবস্থায় এদের দেহে দ্বি-পাশ্বীয় প্রতিসাম্য দেখা যায়, তবে পূর্ণবয়স্ক প্রাণীদের দেহ অরীয় প্রতিসম।
  • দেহগহ্বরঃ সুগঠিত দেহগহ্বর বিদ্যামান থাকে।
  • দেহখণ্ডের উপস্থিতিঃ দেহখণ্ডের উপস্থিতি নেই।
  • কঙ্কালতন্ত্রের ধরনঃ দেহের অভ্যন্তরে ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি অন্তঃকঙ্কাল থাকে।
  • অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃ সুগঠিত পানি সংবহনতন্ত্র রয়েছে যা বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজে সহায়তা করে। এদের অনেক প্রাণীর দেহের নির্দিষ্ট অঙ্গ ক্ষয়প্রাপ্ত হলে তা পুনর্গঠন করার ক্ষমতা আছে

লেখকের মন্তব্য

আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন। 

কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url