অ্যানিলিডা পর্বের প্রাণীদের উদাহরণ এবং অ্যানিলিডা পর্বের বৈশিষ্ট্য
অ্যানিলিডা পর্বের প্রাণীদের উদাহরণ
কেঁচো বা জোঁকের শরীরের গঠন কেমন কখনো খুব ভালো করে খেয়াল করেছো? লক্ষ করলে দেখবে এই প্রাণীদের সারা শরীর অসংখ্য খণ্ডে বিভক্ত, মনে হয় যেন অনেকগুলো ক্ষুদ্র আংটি পর পর জোড়া দিয়ে শরীরটা তৈরি। ঠিক এই কারণেই কেঁচো ও এই ধরনের প্রাণীদের নিয়ে যে পর্ব গঠিত তার নাম রাখা হয়েছে অ্যানিলিডা।
অ্যানিলিডা শবটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ annulus থেকে যার অর্থ হচ্ছে আংটি। এই পর্বের প্রাণীদের দেহের গঠন লম্বা নলাকৃতির। প্রায় ক্ষেত্রেই এই প্রাণীদের দেহে চুলের মতো শক্ত লোম বা সিটি (setae) থাকে যা তাদের চলনে সাহায্য করে।
অ্যানিলিডা পর্বের বৈশিষ্ট্য
- গঠন ও কোষের বিন্যাসঃ একাধিক অঙ্গের সমন্বয়ে তন্ত্র গঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে শরীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়।
- দেহের প্রতিসাম্যঃ দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসম।
- দেহগহ্বরঃ সত্যিকারের দেহগহ্বর রয়েছে।
- দেহখণ্ডের উপস্থিতিঃ দেহখণ্ডের উপস্থিতি রয়েছে।
- কঙ্কালতন্ত্রের ধরনঃ হাড়ের তৈরি কঙ্কালতন্ত্র নেই। তবে দেহাভ্যন্তরে তরলে পূর্ণ গহ্বর থাকে যা দেহকে দৃঢ়তা প্রদান করে।
- অন্যান্য বৈশিষ্ট্যঃ স্নায়ুতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্র রয়েছে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন।
কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url