শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে থাকছে আজকে আমাদের এই পোস্ট। শিং মাছ খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিতা বিদ্যমান রয়েছে।

শিং মাছ এমন একটি আমিষ যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিং মাছ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে কারও জন্য এটি বিপরীত মুখী হতে পারে। শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই বিদ্যমান। সেগুলো জানতে পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শিং মাছকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ক্যাটফিশ’। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এই মাছের নাম অন্য রকম হয়ে থাকে। যেমন বিভিন্ন অঞ্চলে শিং মাছকে জিওল মাছ বলা হয়।  শিং মাছ রোগীর খাদ্য হিসাবে পরিচিত। রোগীদের জন্য শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। 

শিং মাছের পুষ্টিগুণ 

  • মাছ খাওয়া নিরাপদ যদি সেটি সঠিক মাছ হয়ে থাকে। যে মাছে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, আয়রন, জিঙ্ক, কোলিন, ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আয়োডিন-এর মতো পুষ্টির একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি লিন প্রোটিনের-ও একটি উৎস।শিং মাছেও এসকল প্রোটিন ও ভিটামিন বিদ্যমান আছে। শিং মাছের মধ্যে থাকা আয়রন ও জিঙ্ক শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • মহিলাদের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য এই মাছগুলো খাবার তালিকায় থাকা দরকার।কারণ, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের বিশেষ প্রোটিনের প্রয়োজন রয়েছে। এতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি থাকায় মা ও গর্ভের শিশুর হাড় গঠনে এবং দৃষ্টি ও ত্বক সুন্দর রাখতে সহায়তা করে শিং মাছ। এ ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম ও পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ায় মিনারেলের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিং মাছ খেলে কি আসলেই রক্ত বৃদ্ধি হয় 

এক চিকিৎসক বলে, জ্বরের সময় বা অন্যান্য অসুস্থতার সময় অন্য যেকোনো মাছের মতো শিং মাছ খেলেও শরীরে শক্তি বাড়ে। অন্যসব মাছের মতো শিং মাছেও প্রোটিন ও মিনারেল আছে। তবে অন্যসব মাছের তুলনায় শিং মাছে বেশ কিছু বা বিশেষ ধরনের উপাদান রয়েছে, এমনটা নয়।

শিং মাছ খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় 

  • যে সব রোগী ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগে থাকে, তাঁরা নিয়মিত এই মাছ খেলে ঘাটতি পূরণ হবে। শিশুরাও এই ধরনের মাছ খেলে উপকার পেতে পারে।

  • শিং মাছ বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর মাছ। প্রোটিন, ভাল ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেলস এ পরিপূর্ণ এই মাছ। দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এই মাছ সকলের খাবার তালিকায় থাকা দরকার।
  • ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম ও পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ায় মিনারেলের চাহিদা পূরণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • শিং মাছের পাতলা ঝোল শুধু  বাচ্চাদের  স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তা কিন্তু নয়। বড়রাও খেতে পারে এই মাছের ঝোল। পেট খারাপ, জ্বর হলেও মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে পারে শিং মাছের ঝোল। পাশাপাশি অসুস্থতার মধ্যে শিং মাছের ঝোল খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে যেকোনো মানুষ।  

শিং মাছ খাওয়ার অপকারিতা 

দেখুন সবকিছুর ভালো মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। ঠিক তেমনি শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে শিং মাছের তেমন কোনো ক্ষতিকর দিক নেই। কিন্তু প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাসিয়াম থাকায় কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে শিং মাছ। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে কিডনির রোগীদের শিং মাছ এড়িয়ে চলার কথা বলে। এবং কম খাওয়ার কথা বলেন ডা. জয়নুল আবেদীন।

চাষের শিং মাছ প্রসঙ্গে চিকিৎসক বলে, চাষকৃত শিং মাছ সাধারণত আকারে বড় হয়। পুষ্টিতে তেমন একটা  পার্থক্য নেই। তবে আকারে বড় হওয়ায় প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে চাষের শিং মাছে। এছাড়াও দামে কম হওয়ার কারণে চাষের শিং মাছই মানুষের কাছে বেশি সহজলভ্য হয়ে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন। 

কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url