পাঙ্গাস মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
পাঙ্গাশ মাছ অনেকেই খায় আবার অনেকেই খাই না। তবে আপনারা কি জানেন পাঙ্গাশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। যদি জানা না থাকে তবে পোস্ট টি আপনার জন্য। চুলে জেনে নেওয়া যাক পাঙ্গাশ মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পাঙ্গাস মাছের হাড় এবং মেরুদণ্ডে রয়েছে ফসফরাস এবং উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম। আর এই উচ্চ ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম উপাদান শরীরের ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন মিটাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর হাড় এবং দাঁত ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাঙ্গাস মাছের পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি।
পাঙ্গাশ মাছের উপকারিতা
পাঙ্গাস মাছ অবশ্যই অনেক সুবিধা রয়েছে যা মানুষের জন্য ভালো। বিশেষ করে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি এবং শরীরে পুষ্টি জোগানোর ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ। কিন্তু পাঙ্গাস মাছেরও রয়েছে কিছু অপকারিতাও। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানবো এই মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
উপকারিতা
পাঙ্গাস মাছ কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে : পাঙ্গাস মাছের মাংস, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের সাথে সম্পৃক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। পাঙ্গাস মাছের মাংসে থাকা অসম্পৃক্ত চর্বিগুলোর কারণে, রোগের গঠনে প্রতিরোধ ভীষণ কার্যকরী। পাঙ্গাস মাছের মাংসে অসম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ পাঙ্গাস মাছের মোট পুষ্টির মানের ৫০% পর্যন্ত রয়েছে।
পাঙ্গাস মাছ কোলেস্টেরল কম করতে সহায়তা করে থাকে : কিছু মানুষের যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে। তবে চিন্তার কারণ নেই, পাঙ্গাস মাছ হলো এমন একটি মাছ যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকে। যাদের শরীরে কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তারা এই পাঙ্গাস মাছ খেতে পারবে। অসম্পৃক্ত চর্বির উপাদান শরীরে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে।
পাঙ্গাস মাছের উপকারিতার মধ্যে এটি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত যাদের উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল রোগ আছে তারা সবসময় পাঙ্গাস মাছ খেতে পারে।
পাঙ্গাস মাছ করোনারি হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে : এটি এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা প্রতিরোধ করা যায় তা হলো করোনারি হৃদরোগ। কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতোই একটি রোগ, পাঙ্গাস মাছে থাকায় অসম্পৃক্ত চর্বি শরীর থেকে করোনারি হৃদরোগ রোধ করতে সহায়তা করে থাকে। কারণ হলো অসম্পৃক্ত চর্বি স্থির থাকে না এবং রক্তনালীতে রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়।
পাঙ্গাস মাছ মায়ের গর্ভে শিশুর বৃদ্ধি অপ্টিমাইজ করতে সহায়তা করে থাকে : গর্ভবতী মহিলাদের জন্য, পাঙ্গাস মাছ গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য উপকারী একটি মাছ। এটি ডিএইচএ-এর বিষয়বস্তু এবং পাঙ্গাস মাছে সমৃদ্ধ ওমেগা ৩-এর সুবিধার কারণে হয়ে থাকে। পাঙ্গাস মাছ শিশু গর্ভে থাকাকালীন ভ্রূণের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে।
পাঙ্গাস মাছ পেশী গঠনে সহায়তা করে থাকে : যারা পেশী বাড়াতে ও শক্তিশালী করার জন্য ডায়েট চার্ট করতে চায়, তাদের জন্য পাঙ্গাস মাছের মাংস ভীষণ ভালো। পাঙ্গাস মাছের মাংসের উচ্চ প্রোটিন উপাদানের জন্য এর মাংস ভীষণ কার্যকরী পেশী গঠনে।
পাঙ্গাস মাছ
- পেশীর ভর বাড়াতে সহায়তা করে
- পেশী শক্তিশালী করতে সহায়তা করে
- পেশী শক্ত করতে সহায়তা করে
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে
- শরীরের শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে
পাঙ্গাস মাছ হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে : পাঙ্গাস মাছের হাড় এবং মেরুদণ্ডে ফসফরাস এবং উচ্চ ক্যালসিয়াম আছে। যা উচ্চ ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম উপাদান শরীরের ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা মিটাতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর হাড় এবং দাঁত ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
পাঙ্গাস মাছে উচ্চ পুষ্টি উপাদান রয়েছে : পাঙ্গাস মাছের পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি। পাঙ্গাস মাছে খুব বেশি প্রোটিন এবং অসম্পৃক্ত চর্বি রয়েছে। এই উভয় ধরনের পদার্থ শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়।
রক্তনালীতে চর্বি জমাট বাধা রোধ করে থাকে
- পেশী বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে
- কার্ডিওভাসকুলার এবং করোনারি হার্টের মতো অনেক রোগের সংঘটন প্রতিরোধ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ লেবুর রস খাওয়ার উপকারিতা
পাঙ্গাস মাছে কি কি ভিটামিন আছে?
- ভিটামিন- বি-১ (থায়ামিন): ০.১৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন- বি-২ (রিবোফ্ল্যাভিন): ০.০৬ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন- বি-৩ (নায়াসিন): ৪.৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন- বি-৬: ০.১০৭ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন- এ: ৫ মিলিগ্রাম
- রেটিনল: ৫ মিলিগ্রাম
পাঙ্গাস মাছের হাড়ে এবং মেরুদণ্ডে রয়েছে ফসফরাস এবং উচ্চ ক্যালসিয়াম। এই উচ্চ ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম উপাদান শরীরের ফসফরাস এবং ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন মিটাতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর হাড় এবং দাঁত ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
পাঙ্গাস মাছ খাওয়া কি ক্ষতিকর?
আসলে পাঙ্গাস মাছ খেলে তেমন কোন ক্ষতি হয় এইরকম কোন গবেষণায় পাওয়া যায়নি ।কিছু সাধারণ মানুষ এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় এটা হয়তো তাদের মনগড়া একটি চিন্তাভাবনা। কেউ যদি পাঙ্গাস মাছ প্রেমী হয়ে থাকে বা কারো পছন্দের মাছের তালিকায় পাঙ্গাস মাছ থেকে থাকে আর যদি সে এই মাছটি সম্পর্কে না জেনে থাকে ৷
তাহলে তার ধারনাটি একদমই ভুল, কারণ পাঙ্গাস মাছ খেলে কোন ধরনের ক্ষতি হয় গবেষনায় এটা পাওয়া যায়নি এমনকি এটা যে ক্ষতিকর এমন কোন প্রমানও গবেষকরা পাননি।
গর্ভাবস্থায় পাঙ্গাস মাছের উপকারিতা
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পাঙ্গাশ মাছ ভীষণ উপকার। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য উপকারী হতে পারে এটি। এই মাছে প্রচুর ওমেগা ৩ থাকার কারণে এটি গর্ভে থাকা ভ্রূণের স্বাস্থ্য রক্ষায় বজায় রাখতে সাহায্য করে। যারা পেশি বাড়াতে ও শক্তিশালী করার জন্য ডায়েট করছে তাদের জন্য পাঙ্গাশ মাছ খাওয়া ভীষণ ভালো।
ডরি মাছ ও পাঙ্গাসিয়াস কি একই?
প্যাঙ্গাসিয়াস মাছটি ডরি নামেও পরিচিত এবং এটি এশিয়ার সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে বেশি খাওয়া মাছের মধ্যে একটি। অতীতে ভিয়েতনামে প্যাঙ্গাসিয়াস উৎপাদন পশ্চিমা মিডিয়া আউটলেটের বিভিন্ন 'ক্ষতিকর' গল্পের লক্ষ্য ছিল এবং এই গল্পগুলো আজও প্যাঙ্গাসিয়াস মাছের এশিয়ান বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে আসছে।
পাঙ্গাস মাছ নিষিদ্ধ কেন?
গবেষণা এবং গবেষণায় দেখা যায় যে এই মাছটি বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে উচ্চ পারদের ঘনত্বের কারণে, যা এটিকে শিশুদের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত করে তুলে। ইতালি এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় খুচরা চেইন ইতিমধ্যেই এর বিক্রি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
পাঙ্গাস মাছ প্রতিদিন খাওয়া যাবে কি?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিদিন ৩.৪ থেকে ১৬৬ কেজি প্রত্যাখ্যাত প্যাঙ্গাসিয়াস সারাজীবন খেতে পারবে। কোনো নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াই । অতএব, তাই উপসংহারে আসতে পারে যে সুপারমার্কেটগুলোতে পাওয়া প্যাঙ্গাসিয়াস অবশ্যই নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে না।
১ পিস পাঙ্গাস মাছে কত ক্যালরি?
- ক্যালরি: ১৬২ কিলোক্যালরি
- ফ্যাট: ১১ গ্রাম
- প্রোটিন: ১৫.৯ গ্রাম
- পানি: ৭০.৮ গ্রাম
পাঙ্গাস মাছ কি হার্টের জন্য ভালো?
সাধারণত যাদের উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল রোগ আছে তারা সবসময় পাঙ্গাস মাছ খেতে পারে। এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা প্রতিরোধ করা যায় তা হল করোনারি হৃদরোগ। কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতোই, পাঙ্গাস মাছের উপকারিতায় থাকা অসম্পৃক্ত চর্বি শরীর থেকে করোনারি হৃদরোগ দূর করতে পারে।
পাঙ্গাস মাছ কি বাচ্চাদের খাওয়া যাবে?
দেখুন পাঙ্গাশ মাছ বেশ উপকারি। পাঙ্গাশ মাছ তৈলাক্ত যা হার্টের জন্য বেশ উপকারি। তবে বর্তমানে যেসব পাঙ্গাশ মাছ পাওয়া যায় সেগুলো চাষকৃত। চাষকৃত পাঙ্গাশ কে বিভিন্ন ফিড খাওয়ানো হয়। মানে চাষকৃত পাঙ্গাশ ক্ষতিকর হয়। তবে যদি আপনি শিউর হন যে আপনার কেনা পাঙ্গাশ মাছটি নদীর পাঙ্গাশ বা পুকুরের পাঙ্গাশ তবে খাওয়াতে পারবেন কোন সমস্যা নাই।
অর্থাৎ চাষকৃত পাঙ্গাশ মাছ না খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন। তবে সেটি নদীর পাঙ্গাশ হলে আপনারা সপ্তাহে একদিন বা ১০-১৫ দিনে একদিন খাওয়াতে পারবেন, তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে চাষকৃত পাঙ্গাশ মাছ খাওয়ানো তে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। এটা না খাওয়ানোই ভালো।
পাঙ্গাস মাছ খেলে কি ওজন কমে?
যারা ডায়েট করে বা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে চাই তাদের জন্য বেশ উপকারি পাঙ্গাশ মাছ। কেননা পাঙ্গাশ মাছে প্রতি ৩-আউন্স পরিবেশনে ১০০ এর কম ক্যালরি পাওয়া যায়। যা ডায়েট কারীদের বেশ উপকারে আসবে।
নদীর পাঙ্গাশ চেনার উপায়
নদীর পাঙ্গাশ চেনার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন:
- নদীর পাঙ্গাশ মাছ সাধারণ আকারে বড় হয়।
- নদীর পাঙ্গাশ মাছ ৫০ কেজি পর্যন্তও হতে পারে।
- নদীর পাঙ্গাশ মাছের শরীর লম্বাটে ও চ্যাপ্টা হয়।
- মাথা ছোট আর চোখ বড় হয়।
- নদীর পাঙ্গাশ মাছের ঠোঁট মাঝারি এবং মুখ বাকানো থাকে।
- নদীর পাঙ্গাশ মাছের পুচ্ছ পাখনা দীর্ঘ ও গভীরভাবে ফর্কেড।
- চোখ বড়, গোলাকার এবং হলুদ বা বাদামী রঙের হয়ে থাকে।
- নদীর পাঙ্গাশ মাছের আঁশ লম্বা, পাতলা ও ধূসর রঙের হয়ে থাকে।
- নদীর পাঙ্গাশের চামড়া মসৃণ এবং পাতলা। এর রঙ রূপালী হয়।
পাঙ্গাস মাছে কি এলার্জি আছে?
হ্যাঁ, পাঙ্গাস মাছেও এলার্জি হতে পারে। যেকোনো খাবারেই এলার্জি হতে পারে, যার মধ্যে পাঙ্গাস মাছও রয়েছে। পাঙ্গাস মাছের অ্যালার্জি সাধারণত মাছের প্রোটিনের প্রতি প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। পাঙ্গাস মাছের অ্যালার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ত্বকে ফুসকুড়ি বা চুলকানি
- চোখ, নাক বা গলায় চুলকানি
- শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি
- মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা বা গলা ফুলে যাওয়া
- বমি বমি ভাব বা বমি
- ডায়রিয়া
যদি পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার পরে এই লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনওটি দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। পাঙ্গাস মাছের অ্যালার্জি জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে, তাই এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া দরকার।
পাঙ্গাস মাছের অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে পারেন—
- খাদ্যের লেবেল সাবধানে পড়তে হবে। পাঙ্গাস মাছ প্রায়শই অন্যান্য খাবারে একটি উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
- ডাক্তারকে অ্যালার্জি সম্পর্কে জানাতে হবে। কারণ তারা পাঙ্গাস মাছ এড়ানোর উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারবে।
- পাঙ্গাস মাছের অ্যালার্জির চিকিৎসায় অ্যান্টিহিস্টামাইন এবং স্টেরয়েড ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বর ক্ষেত্রে, এপিনেফ্রিন ইনজেকশন নিতে হতে পারে।
পাঙ্গাস মাছের তেল খাওয়ার উপকারিতা
গবেষণা থেকে জানা গেছে যেকোন মাছের তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারি। এতে কোন ক্ষতি হয়না। এতে ফ্যাট থাকে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। আর এই ফ্যাটের তালিকায় সবার উপরে নাম আছে পাঙ্গাশ মাছের। নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা দেওয়া হলো।
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি: তেল মালিশ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশে পুষ্টি ও অক্সিজেন পৌঁছাতে সহায়তা করে।
- মাংশপেশী শিথিলতা: এটি মাংশপেশী শিথিল করতে সাহায্য করে, যা ব্যথা ও চাপ কমাতে সহায়ক
পাঙ্গাস মাছের অপকারিতা
পাঙ্গাশ মাছের অপকারিতা তেমন নেই। তবে কিছু ব্যবসায়ী পাঙ্গাশ মাছকে ভালো রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ এবং অ্যান্টিবায়োটিক গুলো বয়বহার করে থাকে। এসব পাঙ্গাশ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অতএব এসব মাছ কেনা থেকে বিরত থাকায় উত্তম। আপনারা চাইলে এমন জায়গা থেকে কিনতে পারেন যারা বিশস্ত। বা এমন জেলের দের থেকে যারা নদী থেকে মাছ ধরে তাজা মাছ বিক্রি করে।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন।
কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url