সংবিধান ও সংশোধনী সমূহ গুলো বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কি সংবিধান ও সংশোধনী সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য। চলুন জেনে নিই সংবিধান ও সংশোধনী সমূহ গুলো।
সংবিধান ও সংশোধনী সমূহ
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এ সময়কালে বসা ১১ টি সংসদের মধ্যে সপ্তম এবং বর্তমান সংসদ বাদে প্রতিটি সংসদে সংবিধান সংশোধন হয়েছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদকালে সপ্তম সংসদের সংবিধানে কোন সংশোধন হয়নি। অপরদিকে প্রথম সংসদের মেয়াদ তাদের সব থেকে বেশি ৪বার সংবিধানের সংশোধনী আনা হয়েছে। ১৭ টি সংশোধনীর মধ্য সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে ২০১৪ সালে আনা ষোরশ সংশোধনীতে।
ওই সময় ৩৫০ টি ভোটের মধ্যে ৩২৭-০ ভোটে সংশোধন বিল পাস হয়। আর সংসদ নেতা হিসেবে শাহা আজিজুর রহমান, ব্যারিস্টার মাওদুদ আহমেদ ও খালেদা জিয়ার পৃথক পাঁচটি সংবিধান বিল পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বাকি বিলগুলো সংশ্লিষ্ট সদস্যের আইনমন্ত্রীারাই উত্থাপন করেন। একাদশ, দ্বাদশ, ষোড়শ ও সপ্তদশ সংশোধনীগুলো বিরোধী দলের সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
প্রথম সংশোধনী
- সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বিল পাস হয় ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই।
- সংবিধানের প্রথম সংশোধনধনীতি ছিল যুদ্ধাপরাধীনসহ অন্যান্য একটা বিরোধী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা।
- ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে এই সংশোধনীর মাধ্যমে যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হয়।
- তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
- ২৫৪-০ ভোটে বিলটি পাছ হয়।
- তিনজন ভোটার ওই সময় ভোটদানে বিরত থাকেন।
- এটি ১৯৭৩ সালের ১৭ জুলাই রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাই।
দ্বিতীয় সংশোধনী
- ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী বিল পাস হয়।
- সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ( ২৬,৬৩,৭২ ও ১৪২) সংশোধন আনা হয়।
- অভ্যন্তরীণ গোলযোগ বা বাহিরাক্রমণে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বাধাগ্রস্থ হলে ‘জরুরি অবস্থা' ঘোষণার বিধান চালু করা হয় এই সংবিধানের মাধ্যমে।
- আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে ২৬৭-০ ভোটে তা পাস হয়।
- সংসদের তৎকালীন বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সংসদেরা বিল পাশের সময় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন। বিলটি পাশের ২ দিনের মাথায় ২২ সেপ্টেম্বর এটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাই।
তৃতীয় সংশোধনী
- ভারত ও বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারণী একটি চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য ১৯৭৪ সালের ২৩ নভেম্বর এ সংশোধনী আনা হয়।
- এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন এবং চুক্তি অনুযায়ী ছিট মহল ও অপদখলীয় জমি বিনিময় বিধান প্রণয়ন করা হয়।
- আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর উত্থাপিত বিলটি ২৬১-৭ ভোটে পাস হয়।
- রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয় ১৯৭৪ সালের ২৭ নভেম্বর।
চতুর্থ সংশোধনী
- ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি এর সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন ঘটানো হয়।
- সংশোদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন পদ্ধতি চালু এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তনে এ সংশোধনীর বিষয়টি উত্থাপন করেন।
- বিলটি ২৯৪-০ ভোটে পাস হয়।
- বিলটি পাশের সময় সরকারি দলের সদস্য এমএজি ওসমানী ও ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম সংসদ বর্জন করেন।
- বিলটি পাস হওয়ার দিন ২৫ জানুয়ারিই তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাই।
পঞ্চম সংশোধনে
- জাতীয় সংসদে এর সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৯ সালের ৬ই এপ্রিল।
- ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এর পর থেকে ১৯৭৯ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকার যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দান সহ সংবিধানে এর মাধ্যমে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযোজন করা হয়।
- সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান উত্থাপিত বিলটি ২৪১-০ ভোটে পাস হয়।
- পরে এর সংশোধনীটি অবশ্য উচ্চ আদালতের রায়ে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অবৈধ ঘোষিত হয়ে যায়।
ষষ্ঠ সংশোধনী
- ১৯৮১ সালের ৮ জুলাই এ সংশোধনী আনা হয়।
- রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর উপরাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
- সেই সময়ে বিএনপির রাষ্ট্রপতি পদে তাদের প্রার্থী হিসেবে আব্দুস সাত্তার কে মনোনয়ন দেয়।
- ষষ্ঠ সংশোধনীতে সেই পথ টাই নিশ্চিত করা হয়।
- উপ-রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিত করা হয় সংশোধনীর মাধ্যমে।
- সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান ২৫২-০ ভোটে পাস হয়।
- এটি রাষ্টপতির অনুমোদন পায় ওই বছরের ১০ জুলাই।
সপ্তম সংশোধনী
- ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন বহাল ছিল।
- ১৯৮৬ সালের ১১ নভেম্বর জাতীয় সংসদে সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে এরশাদের ওই সামরিক শাসনে বৈধতা দেওয়া হয়।
- ১৯৮২ সালের ২৪ শে মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সামরিক আইন বলবৎ থাকাকালীন সময়ে প্রণীত সব ফরমান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের আদেশ, নির্দেশ ও অধ্যাদেশসহ অন্যান্য অনুমোদন দেওয়া হয় এই সংবিধানীর মাধ্যমে।
- আইনমন্ত্রী বিচারপতি কে এম নুরুল ইসলাম উত্থাপিত সংবিধান সংশোধনী বিলটি ২২৩-০ ভোটে পাস হয়।
- ১০ নভেম্বর এটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়।
- ৫ম সংশোধনীর মতো ২০১০ সালে ২৬ আগস্ট এ সংশোধনীকে আদালত অবৈধ ঘোষণা করে।
অষ্টম সংশোধনী
- ১৯৮৮ সালের ৭ জুন সংবিধানে অষ্টম সংশোধনী আনা হয়।
- এ সংশোধনীর মাধ্যমে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ (২,৩,৫,৩০ ও ১০০) পরিবর্তন আনা হয়।
- রাস্তা ধর্ম হিসাবে ইসলামকে স্বীকৃতিদান করা ও ঢাকার বাইরে ৬টি জেলায় হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করার বিধান চালু করা হয়।
- Dacca-এর নাম Dhaka এবং Bangli-এর নাম Bangladeshi-তে পরিবর্তন করা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে।
- সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মাওদুদ আহমেদ উত্থাপিত এ বিলটি ২৫৪-০ ভোটে পাস হয়।
- এটি রাস্তা ভর্তির অনুমোদন পাই ২ দিন পর অর্থাৎ ৯ জুন।
- পরবর্তীতে ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠনের বিষয়টি বাতিল করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
নবম সংশোধনী
- নবম সংশোধনী আনা হয় ১৯৮৯ সালের ১০ জুলাই।
- সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতিকে কে নিয়ে কিছু বিধান সংযোজন করা হয়।
- সংশোধনের আগে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি যতবার ইচ্ছা রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নির্বাচন করতে পারতেন। এ সংশোধনীর পর অবস্থার পরিবর্তন হয়।
- রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সঙ্গে একই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, রাষ্ট্রপতি পদে কোনও ব্যক্তির পর পর দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন সীমাবদ্ধ রাখা হয়। উত্থাপনকারী সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
- বিলটি ২৭২-০ ভোটে পাস হয়।
- রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায় ১১ জুলাই।
- অবশ্য দ্বাদশ সংশোধনীর পর এ সংশোধনীর কার্যকারিতা আর নেই।
দশম সংশোধনী
- এই বিলটি পাস হয় 1990 সালের 12 জন।
- রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩(২)অনুচ্ছেদের বাংলা ভাষ্য সংশোধন ও সংসদে মহিলাদের ৩০ টি আসন আরোও ১০ বছর কালের জন্য সংরক্ষণ করার বিধান করা হয়।
- আইনমন্ত্রী হাবিবুল ইসলাম উত্থাপিত বিলটি ২২৬-০ ভোটে পাস হয়।
- এটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয় ১৯৯০ সালের ২৩ শে জুন।
একাদশ সংশোধনী
- গণঅভ্যুত্থানে এইচ এম এরশাদের পতনের পর বিচারপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে ১৯৭১ সালে ৬ আগস্ট এ সংশোধনী পাস হয়।
- এই সংশোধনীর মাধ্যমিক প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দান বৈধ ঘোষণা করা হয়।
- অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে যাবার বিধান পাস কখনো হয় এই সংশোধনীতে।
- আইন মন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ উত্থাপিত বিলটি ২৭৮-০ ভোটে পাস হয়। এ বিলটি সরকারি ও বিরোধী দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে পাস হয়।
- এটি রাষ্টপতির অনুমোদন পায় ১০ই আগস্ট।
দ্বাদশ সংশোধনী
- ১৯৭১ সালের ৬ আগস্টের এ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭ বছর পর দেশে পুনরায় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত করা হয়।
- সংশোধনীটি উত্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
- ৩০৭-০ ভোটে বিলটি পাস হয়।
- একাদশের মত এ বিলটিও সরকারি ও বিরোধী দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে পাস হয়।
- এটি রাষ্টপতির অনুমোদন পায় ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর।
ক্রয়োদশ সংশোধনী
- ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ এ সংশোধনী আনা হয়।
- এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অবাধ ও সুস্থ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জমির উদ্দিন সরকার এই সংশোধনীটি উত্থাপন করেন।
- এটি ২৬৮ -০ ভোটে পাস হয়।
- রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায় ২৮ মার্চ।
- উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১১ সালে এই সংশোধনীটি বাতিল হয়।
চতুর্দশ সংশোধনী
- ২০০৪ সালের ১৬ই মে এ সংশোধনী আনা হয়।
- এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩০ থেকে ৪৫ টি করা হয়।
- সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ করা হয়।
- এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং সরকারি ও আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতি বা ছবি প্রদর্শনের বিধান করা হয়।
- আইনমন্ত্রী মপদুদ আহমেদ উত্থাপিত বিলটি ২২৬ -১ ভোটে এটি পাস হয়।
- এটি রাষ্টপতির অনুমোদন পায় ১৭ই মে।
পঞ্চদশ সংশোধনী
- সংবিধান আইন 2011 (পঞ্চদশ সংশোধনী) পাস হয় ২০১১ সালের ৩০ জুন এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন হয় 2011 সালের ৩রা জুলাই
- এই সংশোধনী দ্বারা সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পূর্ণ বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র,গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
- এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়।
- এই সংশোধনীর দ্বারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়, জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ এর স্থলে ৫০ করা হয়।
- সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পর ৭ (ক) ও ৭ (খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয়।
- এই সংশোধনীটির বিষয়টি উত্থাপন করেন সেই সময়ের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ।
- বিরোধীদল বিএনপি বর্জনের মধ্যে ২৯১-১ ভোটে বিলটি পাস হয়।
ষোড়শ সংশোধনী
- ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এই সংশোধনী আনা হয়।
- ৭২ এর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পূর্ণস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসাধারনের ক্ষমতা সংসদ কে ফিরিয়ে দেওয়ার বিধান পাস করা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে।
- এটি উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
- ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩২৭-০ জনের ভোটে সর্বসম্মতভাবে বিলটি পাস হয়।
- বিরোধীদল জাতীয় পার্টি বিলটির পক্ষে ভোট দেয়।
- পরে হাইকোর্ট একে অবৈধ ঘোষণা করে দেয়। আপিল বিভাগ ও ওই রায় বহাল রাখে।
- তবে, বর্তমানে এই রায়টি রিভিউতে রয়েছে।
সপ্তদশ সংশোধনী
- সর্বশেষ রবিবার সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের বিধি আরোও ২৫ বছর বহাল রাখার প্রস্তাব সম্বলিত সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনীর বিল পাস হয়েছে।
- সংসদের ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৯৮-০ ভোটে বিলটি পাস হয়।
- স্পিকার ড. সিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২১তম অধিবেশনে দুই দফা বিভক্তি ভোট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন-২০১৮’ নামে বিলটি পাস হয়।
- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
- রাষ্ট্রপতি বিলটির অনুমোদন দিলে এটি আইনে পরিণত হবে।
এই ছিল সংবিধান ও সংশোধনী সমূহ। আশা করি আপনারা সংবিধান ও সংশোধনী সমূহ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন।
কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url