টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকই জানে না। অনেক মনে প্রশ্ন থাকে আসলে কি টাকি মাছে কোনো উপকার পাওয়ার যায়? তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্টটি। টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের এই আর্টিকাল টি সম্পূর্ণ মনযোগ সহকারে পড়ুন। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।


টাকি মাছ মিষ্টি পানি তে হয়ে থাকে। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু তেমনি পুষ্টি গুনে ভরা। এই টাকি মাছ বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় একটি মাছ। টাকি মাছ সোল মাছের বাচ্চার মত হয়ে থাকে। এই টাকি মাছের মাথা অনেকটা সাপের মাথার মত হয়ে থাকে। তবে টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও রয়েছে অনেক। 

টাকি মাছের দেহ আঁশযুক্ত ও লম্বাটে ও দেহের ছোপ ছোপ ফোটা থাকে। টাকি মাছ দেশিও মাছ হওয়া সত্ত্বেও এমন অনেকেই আছে যারা এই টাকি মাছের নাম টাও জানে না। টাকি মাছের স্থানীয় অনেক নাম রয়েছে,। যেমন, লাটি, ওকন বা চাইতাম ইত্যাদি। চলুন টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। চলুন শুরু করি।

টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা

টাকি মাছে যেসব উপকারীতা রয়েছে চুলুন জেনে নি। টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। যেমন:
  • যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। টাকি মাছ হার্টে ভালো রাখতে সাহায্য করে। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত টাকি মাছ খেলে অনেক উপকার পাবেন।
  • গর্ভাবস্থায় টাকি মাছ খেলে গর্ভের বাচ্চার হাড় এবং দাঁতের গঠন করতে সাহায্য করে । টাকি মাছ শিশু এবং গর্ভবতী মা উভয়ের জন্য বেশ উপকারি একটি মাছ।
  • টাকি মাছ বাড়ন্ত শিশুকে নিয়মিত টাকি মাছ খাওয়ালে শিশুর গ্রোথ অনেক ভালো হয়ে থাকে ও বাচ্চা কে সুস্থ-সবল রাখতে সাহায্য করে থাকে।
  • অনেক চোখে সমস্যা দেখা যায় তারা নিয়মিত টাকি মাছ খেলে বেশ উপকার পাবেন। কেন না টাকি মাছ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং যাদের রাতকানা রোগ রয়েছে তারা নিয়মিত টাকি মাছ খেলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে কার্যকারী ভূমিকা ফালন করে থাকে টাকি মাছ।
  • যাদের শরীরে রক্ত কম তারা নিয়মিত টাকি মাছ খেলে উপকার পাবেন। এবং যারা রক্ত সল্পতায় ভূগছেন তারা নিয়মিত টাকি মাছ খেলে অনেক উপকার পাবেন।
  • টাকি মাছ খেলে মানুষ এর দেহ ও ত্বক ভালো ও সুস্থ থাকে। কারণ টাকি মাছে রয়েছে এমিনো এসিড যা মানুষের ত্বক ও দেহের যত্নে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

টাকি মাছের পুষ্টিগুন

অনেকেই জানে না টাকি মাছের পুষ্টিগুন সম্পর্কে। সমস্যা নেই আমরা আছি কি জন্য? আমরা আছি তো আপনাদের জন্যই। আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য। আমরা উপরে পড়েছি টাকি মাছের উপকারিতা সম্পর্কে। আর এখন আমরা জানবো টাকি মাছের পুষ্টিগুন সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আমাদের সাথেই থাকুন এবং মনযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন শুরু করি।

টাকি মাছের প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুণ রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম টাকি মাছে ১.১৭ মি.গ্রা. আয়রন ও ১৫৭ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম ও ৭৫৭ মাইক্রোগ্রাম জিংক এবং ১৭.১৮ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন -বি২, ফসফরাস, মিনারেল এড়াও এতে এমিনো এসিডও রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

টাকি মাছের বৈশিষ্ট্য

চলুন টাকি মাছের বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • টাকি মাছ দেখতে অনেকটা শোল মাছের মত হয়ে থাকে।
  • টাকি মাছের দেহ লম্বাটে ও গোলাকৃতি হয়ে থাকে।
  • টাকি মাছ কাদা মাটিতে অনেক সময় ধরে বেঁচে থাকতে পারে।
  • টাকি মাছের মাথা তুলনা মূলাক ভাবে মাছের থেকে বড় হয় থাকে।
  • টাকি মাছের শরীরের কাঠামো পর্যান্ত কাঁটা ব্দারা সজ্জিত হয়ে থাকে।
  • টাকি মাছে একটি দ্রুতগামী মাছ এবং এর পুরো শরীর খুব পিচ্ছিল হওয়ার কারণে এটিকে ধরা বেশ কঠিন।
  • টাকি মাছের গড় দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ সে.মি হয়ে থকে এবং টাকি মাছের সর্বাধিক দৈর্ঘ্য ৩২.৫ সে.মি হয়ে থাকে।
  • টাকি মাছ অধিকাংশ সময় ছোট আকৃতির মাছ শিকার করে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে থাকে।

টাকি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম কি?

টাকি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Channa punctata এবং টাকি মাছের ইংরেজি নাম Spotted snakedeab.

টাকি মাছ কি রাক্ষুসে মাছ?

জ্বী হ্যা টাকি মাছ একটি রাক্ষুসে মাছ।

টাকি মাছ জীবন ধারনের জন্য অন্য ছোট মাছ বা মাছের পোনা খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে। যেসব মাছ জীবন ধারনের জন্য প্রাকৃতিক ভাবে অন্য মাছ খেয়ে থাকে থাকে রাক্ষুসে মাছ বলা হয়। আর এই টাকি মাছ ও জীবন ধারনের জন্য অন্য মাছ খেয়ে থাকে তাই এটিও রাক্ষুসে মাছ।

লেখকের মন্তব্য

আশা করি টাকি মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও টাকি মাছের পুষ্টিগুন সহ টাকি মাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর্টিকাল টি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই নিজে কমেন্ট এ জানিয়ে জাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;

comment url