বিশ্বের সেরা ফুটবলার কে? মেসি নাকি অন্য কেউ! সবার শীর্ষে রয়েছেন কে?
বিশ্বের সেরা ফুটবলার হলেন লিওনেল আন্ড্রেস মেসি। সবার শীর্ষে রয়েছেন লিওনেল আন্ড্রেস মেসি। লিওনেল আন্ড্রেস মেসি, যাকে আমরা লিওনেল মেসি বা মেসি হিসেবেই বেশি চিনি। মেসি তার প্রতিভা, দক্ষতা, পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। যা একজন খেলোয়াড় হিসেবে যেকারো কাছে সপ্নের মতো।
মেসি তার ক্যারিয়ারে এমন সকল কিছুই অর্জন করেছেন যা বিশ্বের সেরা ফুটবলার হতে যথেষ্ট। লিওনেল মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার একই সাথে সর্বকালের সেরা ফুটবলারও তিনি।
তিনি ফরওয়ার্ড হওয়ার পাশাপাশি চমৎকার একজন প্লেমেকার। এক্ষেত্রেও সবার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। তার খেলা দেখে পেপ গার্দিওলার মতো শুধু এটুকুই বলা যায়,"মেসিকে নিয়ে লিখো না, লেখার চেষ্টা ও করো না, শুধু দেখে যাও আর উপভোগ করে যাও;
মেসি তার দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও পরিশ্রম দ্বারা পুরো বিশ্বকে চমকিত করে চলেছেন। তার খেলার ধরন, মাঠের মধ্যে শান্ত মেজাজে প্রতিপক্ষ ডিফেন্স লাইন ভেঙে গোল দেওয়া সত্যি অবিশ্বাস্য ব্যাপার, যা সবার দ্বারা সম্ভব হয়না।
লিওনেল মেসি যেমন গোল করেন তেমন তার টিমমেট দের দিয়ে গোল করাতেও ভালোবাসেন। এজন্যই তাকে সময়ের সেরা প্লেমেকারও বলা হয়।
লিওনেল মেসির বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠার পথচলা
লিওনেল আন্ড্রেস মেসি! সাধারণত মেসি বা লিওনেল মেসি নামেই পরিচিত। লিওনেল মেসির জন্মস্থান রোজারিও, আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসি একজন আর্জেন্টাইন পেশাদার ফুটবলার। তিনি আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামির ক্লাবের একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
তার জন্ম সাল ২৪ জুন ১৯৮৭। লিওনেল মেসি বর্তমানে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেললেও একসময় তিনি বার্সেলোনার হয়ে খেলতেন। তার জীবনের শুরু সেখান থেকেই। মেসির ৫ বছর বয়সেই, তার বাবার ক্লাব গ্রান্ডোলিতে অভিষেক হয়।
কিন্তু ক্লাব এবং মেসির বাবার সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিলো না,তাই কয়দিনের জন্য থেমে যায় তার ফুটবল যাত্রা। কিন্তু ১০ বছর বয়সে মেসির পরিবার লক্ষ্য করেন সে বাড়ছে না, মেসি ছোট বেলায় গ্রোথ হরমোন সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগতে থাকেন।
তাই মেসির বাবা ১ বছরের মতো ডাক্তার ডাক্তারের দ্বারে ঘুরে ছেলের চিকিৎসা তে একটা বড় এমাউন্ট লাগবে তা নিশ্চিত হোন। তবে মেসির বাবার তখন উপায় ছিলো না কোন। শুরু হলো ক্লাবের দ্বারে দ্বারে ঘুরে মেসির ট্রায়াল এবং চিকিৎসার চুক্তি।
মেসির প্রতিভা নিয়ে কোন ক্লাবেরই সন্দেহ ছিলো না। বরং মুখিয়ে ছিলো তাকে নিতে। কিন্তু চিকিৎসা খরচ বহন করার মতো ক্লাব আর্জেন্টিনা তে ছিলোই না। পরবর্তী তে মেসির ১২ বছর বয়ছে কার্লোস রেক্সাস প্রথম ট্রায়ালেই মেসিতে মুগ্ধ হয়ে উঠেন।
তিনি স্পেনে ফিরেই বার্সা বোর্ড কে তাকে নিতে রাজী করান এবং জোর দেন শীঘ্রই সাইন করাতে। বার্সেলোনা ক্লাব টি তার চিকিৎসার সকল খরচ বহন করার দায়িত্ব নেয়। এজন্য ১৩ বছর বয়সে লিওনেল মেসি বার্সেলোনার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং স্পেনের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
এরপর বার্সেলোনার যুব প্রকল্পে মেসি তার প্রতিভার প্রমাণ দেয় এবং ২০০৪ সালের অক্টোবরে ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয় এক জাদুকরের। পেশাদার ফুটবল জীবনের শুরুতেই ইনজুরি প্রবন হলেও ২০০৭ সাল নাগাদ তিনি নিজেকে দলের একজন মূল অংশে পরিণত করেন।
এরপর থেকেই পুরো বিশ্ব তাকে চিনতে শুরু করে। লিওনেল মেসি ২০০৭ সালের ব্যালন ডি'ওর পুরস্কারে তৃতীয় স্থান এবং ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এর পরের মৌসুমে তিনি উভয় পুরস্কারে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
এর পরের বছর তিনি প্রথমবারের মতো উভয় পুরস্কার জয় করেন। ২০০৮-০৯ মৌসুমে তিনি বার্সেলোনার মূল দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। একই মৌসুমে তিনি বার্সেলোনাকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং প্রথম স্প্যানিস ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ে সাহায্য করেন।
এরপর টানা চার বার ব্যালন ডি'ওর বিজয়ী হন। মেসির পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে সেরা মৌসুম ২০১১-১২। এই মৌসুমে তিনি মোট ৯১ টি গোল করেন। যা আজও একটি বিরল রেকর্ড হয়ে আছে।
সেই মৌসুমে মেসি লা লিগা এবং ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন এবং বার্সেলোনার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
লিওনেল মেসির প্রতিভার আরেকটি ঝলক দেখা যায় ২০১৪-১৫ মৌসুমে, যখন তিনি লা লিগা ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার কৃতিত্ব অর্জন করেন এবং বার্সেলোনা কে ঐতিহাসিক দ্বিতীয় ট্রেবল জেতাতে সাহায্য করেন।
২০১৮ সালের আগস্টে মেসি বার্সেলোনার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। লিওনেল মেসি টানা চারবার সহ মোট আটবার ব্যালন ডি'ওর জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, যা ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও তিনি সর্বোচ্চ ৬ বার ইউরোপীয় সোনালি জুতো জয়েরও কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
তিনি পেশাদার ফুটবল জীবনের প্রায় পুরোটায় কেটেছে বার্সেলোনায়। যেখানে তিনি ১০টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ৬টি কোপা দেল রে সহ মোট ৩৩টি শিরোপা জিতেছেন, যা বার্সেলোনার ইতিহাসে কোন প্লেয়ারের সর্বোচ্চ।
এছাড়াও একজন অসাধারণ গোলদাতা হিসেবে মেসির দখলে রয়েছে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল (৪৪০), লা লিগা ও ইউরোপের যেকোন লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৫০), ইউরোপে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল (৭৩), এক বছরে সর্বোচ্চ গোল (৯১), এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল (২৬)।
এবং লা লিগা (৩৪) ও চ্যাম্পিয়নস লিগে (৮) সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের কৃতিত্ব। পাশাপাশি লিওনেল মেসি একজন দক্ষ প্লেমেকার হিসেবে পরিচিত। তিনি লা লিগা (১৮৩) এবং কোপা আমেরিকার (১২) ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলে সহায়তাকারীর কৃতিত্বেরও মালিক।
মেসির আর্জেন্টিনা দলে অভিষেক হয় ২০০৫ সালের আগস্টে। লিওনেল মেসি জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে ৮০০ এর অধিক পেশাদার গোল করেছেন। মেসি আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে তিনি আর্জেন্টিনা কে ২০০৫ ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতাতে সাহায্য করেন, যে প্রতিযোগিতায় তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৮ অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে ফুটবলে স্বর্ণপদক জয় করেছেন।
২০০৫ সালের আগস্টে লিওনেল মেসির জাতীয় দলে অভিষেক হয়। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপ এ গোল করার মধ্য দিয়ে তিনি সর্বকনিষ্ঠ আর্জেন্টাইন হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ২০০৭ কোপা আমেরিকায় তিনি সেরা যুব প্লেয়ারের পুরস্কার অর্জন করেন।
ওই আসরে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ২০১০ বিশ্বকাপে তেমন ভালো করতে পারেনি মেসি। ২০১১ সালের আগস্টে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১২ মেসি ছিলেন অদম্য।
সে বছরে তিনি জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে মোট ৬৯ টি ম্যাচ খেলে ৯১ টি গোল করেন। ২০১৩ সালটিও মোটামুটি ভালো করেন তিনি ৷ এরপর সবাই ভাবতে শুরু করে ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনা কিছু একটা করবে।
তাই হয়, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে পৌঁছে যায় লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। এতে তার অবদান ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ১ টি গোল হজম সপ্ন শেষ হয়ে যায় তার।
অধিনায়ক হিসেবে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে টানা তিনটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলেছেন (২০১৪ বিশ্ব কাপ, ২০১৫ কোপা আমেরিকা, ২০১৬ কোপা আমেরিকা)। তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরস্কার জয় করেছিলেন। তবে দূর্ভাগ্যবশত তিনি তিনটিই ফাইনাল হেরে যান।
অধিনায়ক হিসেবে খুব খারাপ ভাবে ব্যর্থ হন তিনি। সবাই তখন মেসিকে ইন্টারন্যাশনাল ফলস আক্ষা দিতে লাগলো। চারিদিক থেকে শুরু হয়ে গেলো ট্রল। সেই ব্যার্থায় অনেক টা ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। নিজের রাগে এবং ব্যার্থতার দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে অবসরের ঘোষণা দেন।
তবে আবারও পুনরায় অবসর ভেঙে ফিরে আসেন তিনি এবং ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলায় তিন গোল করে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন।
তবে ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের কাছে ৩-৪ ব্যবধানে হেরে আবারও খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে। তিনি ২০১৮ বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা দলকে নেতৃত্ব দেন। কিন্তু দল তেমন ভালো কিছু করতে পারে না।
তবে তার অপেক্ষার অবসান ঘটে ২০২১ কোপা আমেরিকায়। ২০২১ কোপা জয় করে নিজের ইন্টারন্যাশনাল ট্রফির শূন্যতা কাটান লিওনেল মেসি। এরপর থেকে লিওনেল মেসি কে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
কেননা এরপরই ২০২২ ইউরো জয়ী ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালিসিমা এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স কে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। এতে মেসির অবদান ছিল অতুলনীয়। দলের সকলকে এক করে রাখা, খেলোয়াড় দের আগলে রাখা, তাদের উৎসাহ দেওয়া, মেসি যেন ছিল অদম্য।
লিওনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ৩৬ বছর পর তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ জয় করে। ২০২২ বিশ্বকাপে মেসি গোল্ডেন বল জেতেন। তিনি ২০২২ বিশ্বকাপে ৭টি গোল করেন। এজন্যই মেসিকে বিশ্বের সেরা ফুটবলার বলা হয়ে থাকে।
২০২৩ সালে ক্লাব ও জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাকে ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়। ২০২৪ কোপা আমেরিকাও হয় করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। স্পেন এর দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল (কোপা আমেরিকা-২১, ফিফা বিশ্বকাপ -২২, কোপা আমেরিকা -২৪) জয় করার কৃতিত্ব অর্জন করেন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
যেই মেসির অধিনে আর্জেন্টিনা টানা ৩টি ফাইনাল হেরেছিল, সেই মেসির অধিনেই টানা তিনটি ফাইনাল জিতেছে আর্জেন্টিনা। সত্যিই এমন কামব্যাক যেকারো কাছে সপ্ন।
মেসি তার খেলোয়াড় জীবনে সব কিছুই অর্জন করেছেন যা একজন বিশ্বের সেরা ফুটবলার হওয়ার জন্য প্রয়োজন। তবে মেসির এই সফলতা এমনেই আসেনি। এজন্য প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও পরিশ্রম। মেসির বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠার পথচলা ছিল অনুপ্রাণিত করার মতো।
এজন্য তিনি আজও হাজারও মানুষের আইডল। যায় হোক, মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার এটা হয়তো অনেকেই মানতে চাইবে না। তবে আপনি ফুটবল খেলা পছন্দ করলে অবশ্যই মেসি কে ঘৃণা করতে পারবেন না।
বিদ্র: (মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার হয়ে ওঠার পথচলা) এটি উইকিপিডিয়া ওয়েবসাইট এর একটি পোস্ট লিওনেল মেসি থেকে নেওয়া।
লিওনেল মেসির ক্যারিয়ার
লিওনেল মেসি এমন একজন খেলোয়াড় যার কোনো তুলনা হয় না। তার এমন একটি ফুটবল ক্যারিয়ার রয়েছে যা যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যে সপ্নের মতো। যা অন্যের কাছে সপ্ন তিনি তা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। এজন্যই তিনি বিশ্বের সেরা ফুটবলার। চলুন লিওনেল মেসির ফুটবল ক্যারিয়ার দেখে নিই:-
লিওনেল মেসি তার পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে এখন পর্যন্ত মোট ১০৬৯ টি ম্যাচ খেলেছেন। এই ১০৬৯ খেলে মেসি মোট ৮৩৮ টি গোল করেছেন এবং ৩৭৪ টি তার সতীত্ব দের দিয়ে করিয়েছে। যা সত্যিই অসাধারণ একটি ক্যারিয়ার।
গণনা করা যায় মেসি গড়ে প্রায় ১০৫ মিনিট অন্তর অন্তর একটি করে গোল করে থাকে এবং ৭৩ মিনিট অন্তর অন্তর একটি করে এ্সিস্ট করেন।
যদি মেসির ইন্টার মায়ামির ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে গননা করা হয়, তাহলে মেসি মোট ১০৪০ টি ম্যাচ খেলেছে। এই ১০৪০ খেলে তিনি মোট ৮১৩ টি গোল করেছে এবং মোট ৩৫৮ টি এ্সিস্ট করেছে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
লিওনেল মেসি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত মোট ১৮৭ টি ম্যাচ খেলেছে। মেসি এখন পর্যন্ত মোট ১০৯ টি গোল করেছে এবং তার সতীত্ব দের দিয়ে ৫৫ টি গোল করিয়েছে। যা আর্জেন্টাইনদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এসব কারণেই মেসি কে আর্জেন্টিনার সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলা হয়।
বিশ্ব কাপ ক্যারিয়ার
লিওনেল মেসি বিশ্ব কাপে এখন পর্যন্ত মোট ২৬ টি ম্যাচ খেলেছে। এই ২৬ ম্যাচে মেসির গোল সংখ্যা মোট ১৩ টি এবং এ্সিস্ট ৮ টি। লিওনেল মেসি বিশ্ব কাপ নক আউট পর্বে মোট ১২ টি ম্যাচ খেলে ৫ টি গোল ও ৬ টি এ্সিস্ট করেছে।
মেসি ২০২২ বিশ্ব কাপে মোট ৭ টি ম্যাচ খেলে ৭ টি গোল করেন এবং ৩ টি এসিস্ট করেছে। যা তার দল কে চ্যাম্পিয়ন করতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে। ২০১৮ বিশ্ব কাপে মেসি মোট ৪ টি ম্যাচ খেলে ১ টি গোল সহ ২ টি এসিস্ট করেছে।
২০১৪ বিশ্ব কাপে মেসি মোট ৭ ম্যাচ খেলে ৪ টি গোল সহ ১ টি এসিস্ট করেছে। তবে সে বছর ফাইনালে হারের সম্মুখীন হয় মেসি এবং মেসির আর্জেন্টিনা। ২০১০ বিশ্ব কাপে মেসি মোট ৫ টি ম্যাচ খেলে ১ টি এসিস্ট করেন তবে কোন গোল করতে পারে নি।
২০০৬ বিশ্ব কাপে মেসি ৩ ম্যাচ খেলে ১ টি গোল ও ১ টি এসিস্ট করে। বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি বিশ্ব কাপ আসরে ৫ বার অংশ গ্রহণ করে ৫ বারই বিশ্ব কাপে এসিস্ট করেছে। বিশ্ব কাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে গোল করার রেকর্ড তার (১৩ টি)।
ক্ল্যাব ক্যারিয়ার
মেসি তার ক্লাব ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত মোট ৮৮২ টি ম্যাচ খেলেছে। তার ক্লাব ক্যারিয়ারে মোট ৭২৯ টি গোল করেছে এবং মোট ৩১৯ টি এ্সিস্ট করেছেন। মেসি তার ক্লাব ক্যারিয়ারে গড়ে প্রায় ৯৯ মিনিট অন্তর অন্তর একটি করে গোল করে এবং প্রায় ৬৯ মিনিট অন্তর অন্তর একটি করে এ্সিস্ট করে থাকে। যা সত্যি অসাধারণ।
ইউরোপীয় ক্লাব ক্যারিয়ার
মেসির জীবনের প্রায় সময়ই কেটেছে বার্সেলোনাতে। বার্সেলোনার সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি। তিনি ইউরোপীয় লিগে ৫৭৮ টি ম্যাচ খেলে মোট ৪৯৬ টি গোল ও ২২২ টি এসিস্ট করেছেন। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিনি ১৬৩ টি ম্যাচ খেলে ১২৯ টি গোল ও ৪০ টি এসিস্ট করেছেন। যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ক্যারিয়ার ট্রফি সংখ্যা
মেসি এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ৪৪টি শিরোপা জিতেছেন। লিগ শিরোপা ১২টি, চ্যাম্পিয়নস লিগ ৪টি। জিতেছেন বিশ্বকাপ, ২টি কোপা আমেরিকা, লা ফিনালিসিমাসহ আরও কত শিরোপা। দলীয় অর্জনের মতো মেসির ব্যক্তিগত অর্জনের ডালিটাও কানায় কানায় পূর্ণ।
তার ক্যারিয়ার দেখে অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি সবার শীর্ষে রয়েছেন। তবে আগামী প্রজন্ম তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে কিনা তা শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কারও পক্ষে বলা সম্ভব না।
মেসি সম্পর্কে কিংবদন্তি দের করা উক্তি
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সেরা ফুটবলার মেসি সম্পর্কে ফুটবল কিংবদন্তি দের করা উক্তি :-
- ম্যারাডোনা: "মেসি ফুটবল ইতিহাসের সেরা প্লেয়ার!"
- প্যালাসিও: "মেসির সাথে এক দলে খেলতে পারাটা আমার এবং অন্য খেলোয়াড়দের জন্য সন্মানের। আমার সপ্ন হলো একদিন মেসির মতো হবো। সে শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, মানুষ হিসেবেও অনেক ভালো!"
- ডি মারিয়া: "মেসি একজন ফেনমেনন। এছাড়া আমি আর কি বলতে পারি? সে সব সময় পাস দেওয়া ও নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। আমার মতে সেই (মেসি) বিশ্বের সেরা ফুটবলার।"
- হিগুয়েইন: "আমি বলতে পারি মেসি রোনালদোর চেয়ে সেরা!"
- আন্তোনিও কাসানো (ইতালি): "আমার ছেলের নাম রেখেছি লিওনেল। কারণ আমি বিশ্বের সেরা ফুটবলার টির বিরাট ভক্ত। আমার স্ত্রীও রাজি হয়েছে।"
- সালমান রন্দন: "মেসি কে প্রকাশ করার মতো নতুন কোনো শব্দ নেই। শুধু এটুকু বলবো মেসি বিশ্ব সেরা।"
- ক্রিস্টিয়ান টেয়ো: "মেসির সাথে কেলা অত্যন্ত আনন্দের। এটি একরকম সপ্নের মতো।"
- সার্জিও আগুয়েরো: "সেরা ৩ জন ফরওয়ার্ড কারা? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেসি, মেসি এবং মেসি। তার থেকে সেরা আর কেউ নেই।"
- পেরেজ (রিয়াল মা. প্রেসিডেন্ট): "মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। সেই (মেসি) রিয়াল ও বার্সার মধ্যে পার্থক্যকারী।"
- মারিও গোমেজ: "মেসি একাধারে একজন 'ফলস নাইন' খেলোয়াড় না। সে একজন সত্যিকারের স্ট্রাইকার এবং একজন সুপার প্লে-মেকার। সে একজন সত্যিকারের ঘাটক যে কিনা বিরামবিহীন ভাবে গোল করে!"
- ডেভিড ভিয়া (স্পেন): "মেসির সাথে আমার সম্পর্ক এতোটাই খারাপ যে, বার্সায় আমার স্কোর করা গোলের অর্ধেকের মতো গোলেই তার অবদান থাকে।"
- জর্দি রউয়া (বার্সা সহকারী কোচ): "যখন তোমার দলে মেসি খেলে তখন কোচ হিসেবে তোমার জীবন টা খুবই আরামদায়ক হয়ে উঠে। কোন কথা হবে না, প্রতিদিন শুধু উপভোগ করে যাও!"
- ভিসেন্তে দেল ভস্ক (স্পেন কোচ): "ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কে হারানো কঠিন হবে। এই দলে লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড় রয়েছে যে কিনা একাই আমার ডিফেন্স লাইন ভেঙে দিতে পারে!"
- ডিয়েগো মিলিত: "কোনো সন্দেহ ছাড়াই মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। প্রতিটা ম্যাচ কে সে নিজের করে নেই। সত্যিই অসাধারণ!"
- রিকি আলভারেজ: কে সেরা বার্সা নাকি বায়ার্ন? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বার্সার পক্ষে যাবো কারণ বার্সাই রয়েছে মেসি, যে কিনা বিশ্ব সেরা।"
- রুনি (ইংল্যান্ড): "মেসিই সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়।"
- ক্যাসিয়াস (স্পেন গোলরক্ষক): "মেসি কে কিনা সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি করেছিলাম, কিন্তু আসলে সে আমাদের হওয়ার না। সে কাতালোনিয়ায়। এখন পর্যন্ত যত জন আমার বিপক্ষে গোল করেছে, মেসি তাদের ভিতর নিঃসন্দেহে সেরা। ও (মেসি) আমার বিপক্ষে যত গোল করেছে, আর কেউই করতে পারে নাই।"
- পিকে: "মেসিই সর্বকালের সেরা।"
- রোনালদিনহো: "মেসি বিশ্বসেরা! আমার কোনো কিছুর আক্ষেপ নেই। কিছু একটা আক্ষেপ সবসময় থাকবে, আমি মেসির সাথে বেশি দিন খেলার সুযোগ পেলাম না। আমি তার সাথে আবার খেলতে চাই!"
- আগুয়েরো: "মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।"
- হেলগুয়েরা (স্পেন): "আমার মতে মেসি সর্বকালের সেরা।
- গার্ড মুলার: " আমার রেকর্ড ৪০ বছর পর ভেঙেছে মেসি। মেসি অতুলনীয়!"
- নেইমার জুনিয়র: "মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আমি বার্সেলোনায় সেরা হতে না বরং সেরা খেলোয়াড়টিকে সহযোগিতা করতে এসেছি।"
- হাল্ক: "কোন সন্দেহ ছাড়াই মেসিই বিশ্ব সেরা।"
- পেলে: "এই মূহুর্তে মেসিই সেরা!"
- রিভালদো: "আমার মতে মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।"
- থিয়াগো সিলভা: "মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।"
- ডেভিড ব্যেকহাম: "রোনালদো অসাধারণ খেলোয়াড় কিন্তু সন্দেহ ছাড়াই মেসিই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।"
- রোনালদো: "মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।"
- মাসচেরানো: "মেসি কে বিশ্বসেরা হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। খুব কম রেকর্ডই রয়েছে তার কাছে ভাঙার মতো এখন।"
- প্লাতিনি: "মেসি অবিশ্বাস্য!"
- এ্যালেক্স সং (বার্সা): মেসির সাথে অনুশীলনের সময়ও আমি ওকে (মেসি) বলা হারাতে দেখিনি!"
- কাসেমিরো: "যারা মেসি কে পছন্দ করে না, তারা ফুটবল খেলাই বুঝে না।"
- টমাস মুলার: "আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এ কিছু গোল করেছি ঠিকই কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাকে মেসির সাথে তুলনা করা যায়, মেসি অন্য উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে গেছে।"
- রিবেরি: "মেসি তার ফুটবলে বিশ্বকে বিমোহিত করে রেখেছে। সে সব কিছুই বলা যায় জিতেছে। কিন্তু আমি খুব করে চাইব এবার সে আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে দিবে!"
- হল্যান্ড: "রোনালদো ভালো! কিন্তু মেসি তার থেকে দশ গুণ ভালো।"
- মাঞ্চিনি: "মেসি কে আটকানোর উপায়? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ পর্যন্ত তা কেউ করে দেখাতে পেরেছে নাকি? সে অপ্রতিরোধ্য!"
- লামেলা: "আমি মেসির মতো শুধু একটি গোল করতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করবো।"
- ক্রুইফ: "আমার পছন্দের ফুটবলার মেসি। ইনিয়েস্তাও পছন্দের। আর ক্রিশ্চিয়ানোর খেলা ভালো লাগলেও তার মন মানসিকতা আমার কাছে অভিনেতার মতো লাগে। কোন ফুটবল তারকার ফ্যাশন, চলাফেরা সিনেমার নায়কের মতো হবে কেন? মেসিই সেরা।"
- এরিক লামেলা: "আমি মেসির মতো বিরামহীন গোল করতে চাই!"
- কার্লেস পুয়োল: "মেসি দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়। তার মতো কেউ নেই। এ মূহুর্তে তিনি (মেসি) বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। অনুশীলনে তিনি আমাকে যথেষ্ট ভোগান। আমার বিশ্বাস, তিনি বছরের পর বছর এভাবে খেলে যাবেন।"
- ড্যানি আলভেস: "যখন আমি সেভিয়াতে ছিলাম, তখন মেসির বিপক্ষে খেলতে হতো। এটা আমার জন্য খুবই কঠিন কাজ ছিল। কিন্তু এখন আমি ও মেসি একই দলের। আমার খেলাটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমি খশি যে মেসি ও আমি একই দলে খেলছি। এটা আমার জন্য দারুণ এক ব্যাপার। তার বিপক্ষে খেলা সত্যিই কঠিন এক কাজ।"
- মরিনহো: "মেসিকে থামানোর একটা উপায় আছে। সেটি হলো যখন আপনি ১১ জনকে নিয়ে খেলতে নামবেন, তখন মেসিকে ডাবল মার্ক করতে হবে। একজন তার সঙ্গে লেগে থাকবে, আরেকজন তাকে সহযোগিতা করবে। যদি ১১ জনের বিপক্ষে ১০ জনের খেলা হয়, তাহলে তাকে থামানোর আর কোন সুযোগ নেই।"
- ফ্যাব্রিগাস: "ইনজুরি মুক্ত থাকতে পারলে তার (মেসি) সামনে পরে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আমার কাছে তিনিই (মেসি) বিশ্বসেরা খেলোয়াড়।
- পেপ গার্ডিওলা: " আমি চেয়েছিলাম মেসিকে সময়ের সেরা খেলোয়াড় বানাতে আর উল্টো সেই আমাকে বানিয়ে দিলো সময়ের সেরা কোচ। আর নিজেকে এমন সেরা বানালো যা কেউ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি।"
- ফ্রাঙ্ক রিজকার্ড: "এখনো এমন কোন বুলেট ম্যাজিক তৈরি হয়নি যা মেসিকে থামাতে পারে। মেসিই বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। সেই এবার ব্যালন ডি'ওর এর যোগ্য দাবিদার।"
- আর্সেন ওয়েঙ্গার: "মেসি প্লে-স্টেশনের মতো!"
- জাভি: "এটা পরিষ্কার যে, মেসি অন্যদের থেকে অনেক ওপরে। এটা যারা দেখেন না, তারা অন্ধ!"
- সার্জিও বুস্কেটস: "যদি আমার মাথায় বন্দুক রাখে তবুও আমি অন্য কাউকে সেরা বলতে পারবোনা, মেসিই বিশ্বসেরা।"
- ক্যাসিয়াস: "মেসি দলের জন্য খেলে, তাই বার্সেলোনা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে এতো এগিয়ে যাচ্ছে। সে (মেসি) সেরা, অবশ্যই সেরা। আমি মানতে বাধ্য কারণ আমি তার মুখোমুখি হয়েছি।"
- ডেকো: "আশা করি ম্যারাডোনা আমাকে ক্ষমা করে দিবে, মেসি তার থেকেও সেরা।"
- সামির নাসরি: "লিওনেল মেসি হলো একজন সুপার ম্যান।"
- আর্সেন ওয়েঙ্গার: "রোনালদো একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। কিন্তু তার ভাগ্য অনেক খারাপ যে সে ভুল সময়ে জন্ম গ্রহণ করেছে।"
- অ্যালেক্স ফার্গুসন: " আমি মনে করি রোনালদোই সবচেয়ে পরিপূর্ণ ফুটবলার। আর সেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। (সাংবাদিক মেসির কথা জিজ্ঞাসা করলে) আমিতো বিশ্বের কথা বলেছি। আর মেসি তো হচ্ছে বিশ্বের বাইরের।"
- ক্রুইফ: "বিশ্ব ফুটবলের জন্য মেসি একটি গুপ্তধনের মতো। সে সারা বিশ্বের শিশুদের জন্য রোল মডেল। মেসিই হবে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি'ওর জেতা খেলোয়াড়। সে ৫,৬ এমনকি ৭ টাও জিততে পারে। সে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে অন্য জিনিস।"
- বেকেনবাওয়ার: "মেসি একজন জিনিয়াস। তার সব আছে। আমি এমন একজন খেলোয়াড় কে দেখছি যে খুবই দুর্দান্ত, খুব চালাক এবং তার বাম পা ডিয়াগো ম্যারাডোনার মতো।"
- ডি স্টেফানো: "আমি মেসিতে মুগ্ধ! যা সে করছে, তা খুবই ভালো। সে সবসময় তার দলের জন্য খেলে। খুবই বুদ্ধিমান একজন খেলোয়াড়। সে সেই জায়গায় ই চাপ প্রয়োগ করে, যেখানে সেটা দরকার।"
- দেলবক্স: "মেসিই সেরা, ফুল স্টপ!"
- মরিনহো: "মেসি নেই, বার্সার গৌরবও নেই। সেমিফাইনালে বায়ার্ন এর সাথে বার্সা জিততে পারতো, যদি মেসি খেলতো এবং আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি মেসি ছাড়া বার্সার পথচলা অনেকটাই কঠিন হবে। ২৫ বছরের বয়সী আর্জেন্টাইন সুপারস্টার যেভাবে বার্সাকে সার্ভিস দিয়ে আসছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয় এবং সন্দেহহীন ভাবে বার্সার অনেক অংশ জুড়েই মেসির অস্তিত্ব বিদ্যমান।"
- সাবেলা: "মেসি এমন একজন খেলোয়াড় সে যেকোনো সময় মাঠে নেমে সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে।"
- টিটো ভিলানোভা: "মেসির ওপর নির্ভরশীলতা, এটি নতুন কিছু নয় এবং এটি সাধারণ ব্যাপার কারণ সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আশা করি তার ওপর আরও অনেক বছর নির্ভরশীল থাকতে পারবো।
- গ্যারি লিনেকার: " ম্যারাডোনার খেলা অনেক দেখেছি। ওর বিপক্ষে খেলেছিও। সেও ছিল দুর্দান্ত, তবে মেসি ওর চেয়ে ভালো এবং ধারাবাহিক। ও (মেসি) শুধু ডিয়েগোর প্রতিভাই পাইনি, আমাদের দেখা সর্বকালের সেরা গোলস্কোরারও।"
- ডেভিড ব্যেকহাম: "মেসি পৃথিবীর সেরা খেলোয়াড়। মেসি এমন একজন খেলোয়াড়, যখন কোনো শিশু তার খেলা দেখে সেও মেসির মতো হতে চাই।"
- রুনি: "মেসিই ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। তার (মেসি) মতো আর কেউ নেই।"
- ইব্রাহিমোভিচ: "রোনালদোর ভাগ্য খুব ভালো যে সে প্রতি বছর মেসিকে ব্যালন ডি'ওর জিততে দেখার জন্য সামনের সারির টিকিট টা পায়।"
- জিদান: "মেসি সবসময় ব্যবধান গড়ে দেয়। তার মাঝে একটা চিন্তাই কাজ করে, গোলের দিকে দৌড়ানো। তাই একজন ফুটবল প্রেমিক হিসেবে আপনার কাজ, শুধুই উপভোগ করা।"
- রোনালদো নাজারিও: "এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে, মেসিই বিশ্বসেরা।"
- হুয়ান রোমান: "মেসি অবশ্যই বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। কিন্তু মেসি যদি ১০-১৫ মিনিটের জন্য ফোকাস হারায় তাহলে ইনিয়েস্তা তার দায়িত্ব নিয়ে নেয়।"
- টট্টি: "বর্তমানে বিশ্বে শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়ই আছে, যা সে করতে পারে আমি তা কখনো পারবো না। আর সে হলো মেসি। শুধু মেসিই আমার থেকে সেরা।"
- ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো: "মেসিই বর্তমান সময়ের সেরা খেলোয়াড়।"
- পাওলো মালদিনি: "আমি যখনই লিওনেল মেসি কে খেলতে দেখি তখন আমার মনে হয় তার প্রতি বছর এটি (ব্যালন ডি'ওর) জেতা উচিত। আমার কোন সন্দেহ নেই, সে একজন অবিশ্বাস্য খেলোয়াড়।
- এমবাপ্পে: " মেসির সাথে খেলা অনেক সহজ। সে (মেসি) বিশ্বের সেরা।"
- থিয়েরি অরি: যখন আমি মেসির সাথে খেলতাম, তখন আমার দৌড়াতে মন চাইত না। শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার (মেসি) খেলা উপভোগ করতে মন চাইত।"
- আদ্রিয়ান ইনসুয়া: "নিঃসন্দেহে মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আমার ভাগ্য ভালো যে আমি একজন আর্জেন্টাইন। ফলে তার সাথে খেলার সুযোগ পাই।"
- পিকে: "ভবিষ্যতে আমি আমার নাতি নাতনিদের কে ছবি দেখিয়ে বলতে পারবো সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় মেসি এবং আমি এক দলে খেলেছি।"
- পেপ গার্দিওলা: "পৃথিবীতে এমন কোন ডিফেন্স লাইন নেই যেটা মেসিকে আটকাতে পারে। এক কথায় মেসিকে আটকানো অসম্ভব।"
- সামুয়েল ইতো : “মেসি ম্যাচে যা করে, ট্রেনিংয়ে তার চেয়েও ভালো করে। বার্সার প্রথম দলের সঙ্গে তার প্রথম ট্রেনিংয়ে, মেসি ১৫ মিনিটে ৫টি গোল করেছিল। রোনালদিনহো আর আমি অবাক হয়েছিলাম। রোনালদিনহো যে সব কৌশল ম্যাচে দেখাতো, মেসি ছোট বয়সেই তা করতে পারতো, কিন্তু সম্মানের জন্য ম্যাচে তা দেখাতো না। মেসিই সেরা খেলোয়াড়।
একনজরে মেসির অর্জন গুলো দেখে নি
- ২০০৪-২০০৫ স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন
- ফিফা আন্ডার-২০ ওয়াল্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন
- ফিফা আন্ডার-২০ ওয়াল্ড কাপ গোল্ডেন বুট বিজয়ী
- ফিফা আন্ডার-২০ ওয়াল্ড কাপ গোল্ডেন বল বিজয়ী
- ২০০৫ সালে গোল্ডেন বয় বিজয়ী
- ২০০৫-২০০৬ স্প্যানিস সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন
- ২০০৫-২০০৬ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ বিজয়ী
- ২০০৫-২০০৬ দ্বিতীয় বার স্পানিশ চ্যাম্পিয়ান
- ২০০৬-২০০৭ দ্বিতীয় বার স্প্যানিশ সুপার কাপ বিজয়ী
- ২০০৮-২০০৯ স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন (৩)
- ২০০৮-২০০৯ স্প্যানিশ কাপ বিজয়ী
- ২০০৮-২০০৯ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগ বিজয়ী (২)
- ২০০৮-২০০৯ অলিম্পিক মেডেল বিজয়ী
- ২০০৮-২০০৯ বর্ষসেরা খেলায়ার
- ২০০৯ ফিফা ক্লাব ওয়াল্ড কাপ বিজয়ী
- ২০০৯ ফিফা ক্লাব ওয়াল্ড কাপ গোল্ডেন বল বিজয়ী
- ২০০৯ সালে ফিফা বেস্ট পুরুষ খেলোয়াড় এর এওয়ার্ড
- ২০০৯ - প্রথম বারের মত ব্যালন ডি'ওর বিজয়ী
- ২০০৯- Onze d'Or বিজয়ী
- ২০০৯-২০১০ UEFA supercup বিজয়ী
- ২০০৯-২০১০ spanish super cup বিজয়ী (৩বার)
- ২০০৯-২০১০ spanish Champion (৪বার)
- European Golden shoe বিজয়ী
- ২০০৯-২০১০ Player Of The Year (২)
- ২০১০ Ballon d’Or বিজয়ী (২)
- ২০১০-২০১১ spanish super cup বিজয়ী (৪)
- ২০১০-২০১১ spanish champion (৫)
- ২০১০-২০১১ UEFA Champion League বিজয়ী (৩)
- ২০১০-২০১১ Player of The Year (৩)
- ২০১০-২০১১ Onze d'Or বিজয়ী (২)
- ২০১১ FIFA club world cup বিজয়ী (২)
- ২০১১ FIFA club world cup Golden Ball বিজয়ী (২)
- ২০১১ UEFA Best Player In Europe বিজয়ী (২)
- ২০১১ Ballon d’Or বিজয়ী (৩)
- ২০১১-২০১২ spanish cup বিজয়ী (২)
- ২০১১-২০১২ spanish super cup বিজয়ী (৫)
- ২০১১-২০১২ UEFA supercup বিজয়ী (২)
- ২০১১-২০১২ Player Of The Year (৪)
- ২০১১-২০১২ European Golden shoe বিজয়ী (২)
- ২০১১-২০১২ Onze d'Or বিজয়ী (৩)
- ২০১২ Ballon d’Or বিজয়ী (৪)
- ২০১২-২০১৩ spanish champion (৬)
- ২০১২-২০১৩ Player Of The Year (৫)
- ২০১২-২০১৩ European Golden shoe বিজয়ী (৩)
- ২০১৩-২০১৪ spanish super cup বিজয়ী (৬)
- ২০১৪ FIFA World Cup Golden Ball বিজয়ী
- ২০১৪-২০১৫ UEFA champion League বিজয়ী (৪)
- ২০১৪-২০১৫ spanish champion (৭)
- ২০১৪-২০১৫ spanish cup বিজয়ী (৩)
- ২০১৪-২০১৫ Player Of The Year (৬)
- ২০১৫ Copa America Golden Ball বিজয়ী
- ২০১৫ FIFA club world cup বিজয়ী (৩)
- ২০১৫ UEFA Best Playe In Europe (৩)
- ২০১৫ Ballon d’Or বিজয়ী (৫)
- ২০১৫-২০১৬ UEFA supercup বিজয়ী (৩)
- ২০১৫-২০১৬ spanish cup বিজয়ী (৪)
- ২০১৫-২০১৬ spanish champion (৮)
- ২০১৬-২০১৭ spanish super cup বিজয়ী (৭)
- ২০১৬-২০১৭ European Golden shoe বিজয়ী (৪)
- ২০১৬-২০১৭ spanish cup (৫)
- ২০১৬-২০১৭ Player Of The Year (৭)
- ২০১৭-২০১৮ spanish champion (৯)
- ২০১৭-২০১৮ spanish cup (৬)
- ২০১৭-২০১৮ European Golden shoe বিজয়ী (৫)
- ২০১৭-২০১৮ Player Of The Year (৮)
- ২০১৭-২০১৮ Onze d'Or বিজয়ী (৪)
- ২০১৮ TM-Player Of The Season
- ২০১৮-২০১৯ spanish super cup বিজয়ী (৮)
- ২০১৮-২০১৯ spanish champion (১০)
- ২০১৮-২০১৯ European Golden shoe বিজয়ী (৬)
- ২০১৮-২০১৯ Player Of The Year (৯)
- ২০১৯ TM-Player Of The Season (২)
- ২০১৯ The Best FIFA Men's Player (২)
- ২০১৯ Ballon d’Or বিজয়ী (৬)
- ২০২০ Laureus World Sports Award
- ২০২০ TM-Player Of The Season (৩)
- ২০২০ Copa America বিজয়ী
- ২০২০ Copa America Golden Ball বিজয়ী (২)
- ২০২০-২০২১ spanish cup বিজয়ী (৭)
- ২০২১ Ballon d’Or বিজয়ী (৭)
- ২০২১ TM-Player Of The Season (৪)
- ২০২১-২০২২ Conmebol-UEFA cup Champion
- ২০২১-২০২২ French Champion
- ২০২২ world cup বিজয়ী
- ২০২২ FIFA world cup Golden Ball বিজয়ী (২)
- ২০২২ The FIFA Men's Best Player (৩)
- ২০২২-২০২৩ French Super cup বিজয়ী
- ২০২৩ Laureus World Sports Award (২)
- ২০২৩ Leagues Cup বিজয়ী
- ২০২৩ Ballon d’Or বিজয়ী (৮)
- ২০২৩ The FIFA Men's Best Player (৪)
- ২০২৪ Copa America বিজয়ী (২)
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন।
কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url