গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়? এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সমূহ
গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় এমন প্রশ্ন আমাদের কাছে অনেকেই করে থাকে। আর তাই আজকে আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমলকি খেলে কি হয়। অনেকেই ভাবে আমলকি খেলে কি কোনো উপকার পাওয়া যায়। এই আমলকি এর কি কোনো ক্ষতিকর দিক রয়েছে। জি অবশ্যই এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া জাক গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়? এবং এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে শুরু করি। আজকের আর্টিকেল টি সম্পূর্ণে মনযোগ সহকারে পড়লে আসা করি আপনারা আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আসুন শুরু করি।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়?
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আমরা জেনে নিবো গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়। আপনাদের মনে যতরকম প্রশ্ন আছে আজকে এই আলোচনায় আপনারা আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আসুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া জাক গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়।
আমলকি একটি টক জাতীয় ফল হওয়ার ফলে এটা মেয়েদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় একটি ফল। আর গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। যার ফলে খাবার খাওয়ার সময় অনিহা দেখা যায়। আমলকি টক জাতীয় ফল হওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েরা এই ফলটি খেতে পছন্দ করে থাকেন।
আমলকি এমন একটি ফল যেটাতে রয়েছে ভিটামিন-সি,অ্যান্টিঅক্সাইড ও ফাইবার যা একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য বেশ উপকারী। তাই গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে গর্ভবতী মায়েদের খাবারের তালিকায় আমলকি থাকা জরুরী। এর ফলে গর্ভবতী মায়েদের মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা
আমরা আগের অংশে জেনেছি গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়। এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আপনারা হয়তো অনেকই জানেন না গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা কি।
সমস্যা নাই আমরা আছি তো আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার জন্য। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন আর দেরি না করে জেনে আসি।
দুর্বলতা দূর করাঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা এইসময় অনেক দূর্বল ও ক্লান্ত অনুভব করে থাকে বমি-বমি ভাব কাজে অনিহা আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। আর এই সময় আমলকির রস বা আমলকি বেশ উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ আমলকিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর থাকে এর সাথে আইরন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার বেশ উপকারী। এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আমলকি। আমলকিতে থাকা ভিটামিন-সি রক্ত নালি গুলো কে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। এর ফলে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে রক্ত চাপ স্বাভাবিক থাকে।
আমলকির পুষ্টি গুনঃ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে। গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা জ্বর ও মূত্রনালীর সংক্রমণ রোধ করে।
গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মায়েদের হাতে- পা এ পানি আসে যায় ফলে গর্ভবতী মায়েদের হাত-পা ফুলে যায়। আমলকি হাপ-পা ফুলে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
আমলকি তে রয়েছে এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি উপাদান। এছাড়াও আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান থাকায় এটি শরীর কে হাই ডিড রাখতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মায়েদের মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়। এর ফলে নিশ্বাস থেকে দুর্গন্ধ আসে আমলকিতে থাকা ভিটামিন-সি এই দুই সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুকিঃ ডায়াবেটিকস না থাকলেও অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের ডায়াবেটিস দেখা যায়। এটি কে বলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। গর্ভাবস্থায় হরমোন গুলো ইন্সুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেই জার ফলে ডায়াবেটিস হয়।
আমলকিতে রয়েছে এন্টি ডায়াবেটিক্স উপাদান যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ঝুকি কমাতে অনেক সাহায্য করে।
আমলকির জুসঃ আমলকির জুস গর্ভাবস্থায় গর্ভের বাচ্চার জন্য বেশ উপকারি, এটি বাচ্চার বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। এর ফলে অনেক বিশেষজ্ঞরা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে।
আসা করি আপনারা জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। আমরা ইতিমধ্যে জানলাম গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় ও গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিৎ
আমরা আগের টপিক এ জেনেছি গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয়। আর আমরা এখন জানবো গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিৎ। গর্ভবতী মায়েদের জেনে রাখা উচিৎ গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিৎ। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে থাকেন।
এইসময় তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের অনেক সচেতন থাকতে হয়। এই সময় প্রতিটা পদক্ষেপ অনেক ভেবে চিন্তে নিতে হবে। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের মুখের রুচি কমে যায় যার ফলে খাবার খাওয়ার সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে।
গর্ভাবস্থায় আপনাদের যখন যা খেতে মন চাই আপনারা তখন তাই খেতে পারবেন এতে কোনো ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
এমন অনেকেই আছে যারা বলে থাকে কামরাঙ্গা, কাঁচা পেঁপে, আঙ্গুর ইত্যাদি এইসব ফল খাওয়ার যাবে না। এইসব সব ভুয়া ও বানানো কথা বিশেষজ্ঞরা এইরকম কোনো প্রমান পাননি। আপনারা নিঃসন্দেহে এইসব ফল খেতে পারবেন কোনো প্রকার কোনো সমস্যা ছাড়াই।
তবে হ্যাঁ নিয়ম মেনে পরিমাণ মত খেতে হবে অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো না। আসুন জেনে নিন গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিৎ হবে আপনাদের জন্য।
তরমুজঃ তরমুজে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুন রয়েছে। তরমুজ শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে থাকে যা গর্ভাবস্থায় বেশি উপকারী। তরমুজ একটি পানি জাতীয় ফল হওয়ার ফলে এটি পানি শূন্যতা দূর করে থাকে।
গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। তরমুজ গর্ভবতী মায়েদের শরীরের আদ্রতা ঠিক রাখে ও শরীরের দূষিত পদার্থ গুলো বের করতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খাবেন না
পেয়ারাঃ পেয়ারা অনেক সুস্বাদু ও ভিটামিন-সি জাতীয় ফল। পেয়ারাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।
এছাড়াও পেয়ারাই ভিটামিন-সি থাকার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পেয়ারা খাওয়ার ফলে শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
কলাঃ পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা। গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন অন্তত একটা করে কলা খাওয়া আবশ্যক। কলাতে থাকা পটাসিয়াম থাকার ফলে শরীরের ইলেকট্রোহাইটসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের মাংসপেশি ও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা সঠিকভাবে পালন করতে সাহায্য করে থাকে।
আপেলঃ গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য আপেল খাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রচুর পরিমাণ আয়রন প্রয়োজন হয় যা আপনি আপেলে পেয়ে যাবেন। আপেল খাওয়ার ফলে গর্ভের বাচ্চার অ্যাজমা ও এলার্জি জনিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় ও গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিৎ। এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া জাবে কিনা।
চলুন জেনে আসি গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া জাবে কিনা সেই সম্পর্কে। আর দেরি না করে চলুন শুরু করি।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার খাওয়া জাবে কি?
আপনাদের অনেকর ই মনে এমন প্রশ্ন আসে যে গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া জাবে কি? আমলকি খেলে কোনো ক্ষতি হবে না তো? জি না কোনো ক্ষতি না তবে হ্যাঁ পরিমাণ মত খাবেন। অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ক্ষতি হলেও হতে পারে।
এখন আপনারা বলতে পারেন ক্ষতি হলেও হতে পারে মানে কি?
জি এটার উত্তর দিচ্ছি ক্ষতি হলেও হতে পারে কারণ আপনি আপনার শরীরের জন্য এটা উপকারী ঠিক তেমনি এটা আপনার ক্ষতির ও কারণ হতে পারে; কারণ অতিরিক্ত কোনোকিছুই আপনার শরীরের জন্য মোটেও ভালো না। আমলকি টক জাতীয় ফল হওয়ার ফলে মেয়েরা আমলকি খেতে বেশ পছন্দ করে।
আর গর্ভাবস্থায় এমনিতেই মেয়েরা টক জাতীয় ফল খেলে বেশি ভালোবাসে। আর আমলকি টক হওয়ার ফলে অনেকে ভাবে গর্ভের বাচ্চার কোনো ক্ষতি হবে না তো। তাই আপনাদের আগে ভালো করে জেনে নিতে হবে আমলকি এ কোনো ধরনের উপাদান রয়েছে। তাহলে আপনার সব সন্দেহ দূর হয়ে জাবে।
আমরা আগের অংশ গুলোর মাধ্যমে জানতে পেরেছি গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় ও গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিৎ আর এই অংশে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া জাবে কিনা সেটা সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে আসি।
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন-সি,এন্টি অক্সিডেন্ট,অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা একজন গর্ভবতী মায়ের বেশ উপকারী।
তাই গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের উচিৎ প্রতিদিন খাবার তালিকায় আমলকি থাকা। আমলকি খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ হয়,হাত-পা ফোলা বন্ধ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য মাড়ি থেকে রক্ত পরা বন্ধ করে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এর ঝুকি কমাতে সাহায্য করে থাকে আমলকি। তাই গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা নিঃসন্দেহে আমলকি খেতে পারেন।
যারা ভাবেন আমলকি খেলে গর্ভবতী মায়ের ও গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি এমন ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
আসা করি আপনারা জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া জাবে কিনা সেটা সম্পর্কে। চলুন এখন আমরা জেনে নিবো গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন শুরু করি।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার অপকারিতা
আপনাদের সকলের ই জানা অত্যন্ত জরুরী গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার অপকারিতা গুলো জেনে রাখা। আমরা ইতি মধ্যে জানলাম গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার জাবে কিনা সেটা সম্পর্কে, আমলকির যেমন উপকারীতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারীতাও বিদ্যমান। আসুন জেনে নেওয়া যাক অপকারিতা গুলো কি কি। চলুন শুরু করা যাক।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার অপকারিতা সমূহঃ
আমলকি খাওয়ার তেমন কোনো অপকারিতা নেই। তবে হ্যাঁ আপনাদের অবশ্যই এটা নিয়ম মেনে খাওয়া উচিৎ না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা পেটে ব্যাথার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোনোকিছুই আপনার বা আপনার গর্ভের বাচ্চার জন্য ভালো না। তাই পরিমাণ মত খাবেন। আসা করি বুঝতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের আমলকি একটি অন্যতম খাবার। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি ফল।
আপনার এর মধ্যে জেনেছেন গর্ভাবস্থায় আমলকি খেলে কি হয় ও গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো। আমলকি টক জাতীয় ফল হওয়ার ফলে গর্ভবতী মহিলারা এটি বেশ পছন্দ করে থাকে।
তবে আমলকি কিভাবে খাবেন কখন খাবেন এটা অনেকের কাছেই অজানা। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আমলকি খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
আপনি যখন ইচ্ছে তখনি আমলকি খেতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। এমন বেঁধে দেওয়া কোনো নিয়ম নেই। তবে সবচেয়ে ভালো হবে আপনি যদি প্রতিদিন ৩-৪ টি করে আমলকি আপনি এমনি সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।
এছাড়া আপনি জুস করে কিংবা গরম পানিতে সিদ্ধ করে সেটাকে ঠান্ডা করেও আপনি খেতে পারবেন কোনো সমস্যা নাই।
তবে সিদ্ধ করার ফলে আমলকিতে থাকা ভিটামিন-সি অনেকটাই বেরিয়ে যায়। তাই আপনি পারলে এমনি সুন্দর করে ধুয়ে খেতে পারবেন এতে বেশি উপকার পাবেন।
আমলকি খেলে কি ওজন বাড়ে?
অনেক চিন্তা করেন আমলকি খেলে কি ওজন বেড়ে জাবে। আমলকি এমনি একটি ফল যেখানে আপনি ভিটামিন-সি, ফাইবার, খনিজ সবগুলো পুষ্টিগুন পাবেন সেহেতু ওজন বাড়বে কিনা বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়বে কিনা চলুন সেই সম্পর্কে জেনে আসি।
ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সাইড প্রচুর পরিমাণে থাকলেও ক্যালরির পরিমাণ খুব ই কম থাকে। তাই আমলকি খেলে কখনোই আপনার ওজন বাড়বে না।
তাই একজন গর্ভবতী মহিলা যদি নিয়ম করে পরিমাণ মত আমলকি খায় তাহলে তার ওজন তো বাড়বে না এর সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে,মুখের রুচি বাড়বে অবশেষে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পাবে।
যেমন ধরুন, ভিটামিন-এ,ভিটামিন-সি,ক্যালসিয়াম,আয়রন, খনিজ উপাদান এইসব আরো পুষ্টি পেয়ে যাবেন। তাই আপনি গর্ভাবস্থায় নিঃসন্দেহে আমলকি খেতে পারবেন আপনার ওজন কোনো ভাবেই বাড়বে না নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
আশা করি পোস্ট টি থেকে আপনি অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন। পোস্ট টি হতে কোনো উপকার পেলে বা পোস্ট টি ভালো লাগলে পরিচিত দের সাথে সেয়ার করুন। আর আপনার কোনো সমস্যা বা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আর এমন পোস্ট পেতে অবশ্যই আমাদের গুগলে ফোলো করে রাখুন।কেননা আমরা প্রতিনিয়ত এমন পোস্ট করে থাকি। যা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি তে ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ভুল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন প্রকার ভুল থাকে তবে তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এর ফলে আমরা পরবর্তীতে সে ভুল সংশোধন করতে পারবো এবং আপনাদের নির্ভুল ও সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবো।
ব্লগারের জিহাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন;
comment url